রাজশাহী কিংসকে হারিয়ে শীর্ষে চিটাগং ভাইকিংস

60

স্পোর্টস ডেস্ক :
রাজশাহী কিংসকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল চিটাগং ভাইকিংস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে ছয় উইকেটে হারায় মুশফিকুর রহিমের দল। সাত ম্যাচে চট্টগ্রামের এটি ষষ্ঠ জয়। মুশফিকদের পয়েন্ট এখন ১২। অন্যদিকে, আট ম্যাচ খেলে চারটিতে জিতে ও চারটিতে হেরে আট পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে রাজশাহী কিংসের দেয়া ১৫৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে চার উইকেটে জয় তুলে নেয় চিটাগং ভাইকিংস। দলের পক্ষে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৪৬ বলে ছয়টি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এবারের বিপিএলে মুশফিকের এটি তৃতীয় অর্ধশত। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২৬ বলে চারটি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে আরাফাত সানি ৩টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
চট্টগ্রাম ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩০ রানে তিন উইকেট হারায়। দ্বিতীয় ওভারে দেলপোর্টকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। তিন বলে এক রান করেন দেলপোর্ট। আরাফাত সানির করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে স্ট্যাম্পিং হন ইয়াসির আলী। সাত বলে তিন রান করেন ইয়াসির। পঞ্চম বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ হন শাহজাদ। ১৭ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে শাহজাদ করেন ২৫ রান।
এরপর ৪১ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও নাজিবউল্লাহ জাদরান। জাদরান ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১১তম ওভারে সানির বলে ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৯ বলে দুইটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ২৩ রান করেন আফগানিস্তানের এই ক্রিকেটার। এরপর মুশফিক ও মোসাদ্দেক জুটি বেঁধে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। তারা ৮৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী কিংস। দলের পক্ষে ৫৬ বলে ৭৪ রান করেন লরি ইভান্স। এর আগের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। অন্যদের মধ্যে ২০ বলে ২৮ রান করেন রায়ান টেন ডেসকাট। ২০ বলে তিন চার ও দুই ছক্কার সাহায্যে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কার। চার বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। চিটাগং ভাইকিংসের পক্ষে খালেদ আহমেদ ২টি, রব্বি ফ্রাইলিঙ্ক ১টি, সানজামুল ইসলাম ১টি ও আবু জায়েদ রাহি ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে থাকে। পাওয়াপ্লেতে তাদের সংগ্রহ ছিল দুই উইকেটে ২৭ রান। তৃতীয় ওভারে ফ্রাইলিঙ্কের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। ছয় বলে তিন রান করেন তিনি। চতুর্থ ওভারে খালেদ আহমেদের বল খেলতে পারছিলেন না মার্শাল আইয়ুব। ওভারের পঞ্চম বলটি মারতে গিয়ে বোলারের হাতেই ক্যাচ হন তিনি। সাত বলে এক রান করে ফেরেন আইয়ুব।
এরপর ৫৪ রানের পার্টনারশিপ করেন ইভান্স ও ডেসকাট। ১১তম ওভারে রাহির বলে ইয়াসিরের হাতে ধরা পড়েন ডেসকাট। ২০ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২৮ রান করেন তিনি। এরপর সুবিধা করতে পারেননি জাকির হাসান। ১৩তম ওভারে সানজামুলকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ইয়াসিরের হাতে ক্যাচ হন তিনি। সাত বলে ৫ রান করেন জাকির।
১৬তম ওভারে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইভান্স। ৫৬ বলে আটটি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৭৪ রান করে তিনি ফিরে যান সাজঘরে। ১৮তম ওভারে খালেদ আহমেদের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ হন ইভান্স। শেষদিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন মিরাজ ও জঙ্কার। ১৬ ওভার শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ ছিল চার উইকেটে ৯২ রান। অর্থাৎ, শেষ চার ওভারে তারা নেয় ৬৫ রান।