বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটের নদ-নদীর পানি বাড়ছে

16

স্টাফ রিপোর্টার :
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটের নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে। একের পর এক প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। এতে করে দুর্ভোগ বাড়ছে জনজীবনে। সিলেটে অতিবৃষ্টি না হলেও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এরইমধ্যে সুরমা, সারি ও লোভা ছড়ার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাটে পানি উঠে যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অনেক রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে। মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ওই এলাকায় এ নদীর পানি ১২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটারে উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন সরকার।
তিনি বলেন, জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি ১১ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহমান এই নদীর পানি। এছাড়া মৌলভীবাজারের শেরপুরে সুরমার পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে। বর্তমানে ৮ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রাবাহিত হচ্ছে। তবে জকিগঞ্জের অমলশীদে বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে কুশিয়ারা নদীর পানি। বর্তমানে ১৪ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া নগরীর সংলগ্ন সুরমার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এখানে সুরমা নদীর পানি ১০ দশমিক ০৭ সেন্টিসিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ডেঞ্জার লেভেল ১০ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার।
কানাইঘাট লোভা ছড়ার পানি ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং বিয়ানীবাজারের শেওলায় কুশিয়ারা নদীর পানি ১১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছেই। বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে গেছে। পানিবন্দি হওয়ায় অনেক স্কুলে পাঠদান বন্ধ হয়ে পড়েছে। অবশ্য এখানের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আগাম বন্যার সার্বিক খোঁজখবর নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
সিলেটের আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে উজানের আসাম, মেঘালয়ে ভারী বর্ষণ হওয়াতে ঢলের পানি নেমে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগেরদিন গত বুধবার ভোর ৬টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টা) ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।