বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দাফন

55

কাজিরবাজার ডেস্ক :
মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে দাফন করা হয়েছে। বুধবার বাদ মাগরিব তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাদ জোহর তাঁর প্রথম জানাযা ও দুপুর আড়াইটায় এফডিসিতে দ্বিতীয় জানাযা হয়। তৃতীয় জানাযা মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান মসজিদে হয়।
এর আগে বেলা ১১টায় শহীদ মিনারে আনা হয়েছিল আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মরদেহ। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রথমে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর জাতি শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
দেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল গতকাল মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। প্রখ্যাত এই সংগীত পরিচালক ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭০ দশকের শেষলগ্ন থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সংগীতশিল্পে সক্রিয় ছিলেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলী বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। অসংখ্য চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
তাঁর সুরের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারণ্য লাবণ্য’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’ ও ‘এই বুকে বইছে যমুনা’ ইত্যাদি।