বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হোক

60

সংযমের মাস রমজান আসলেই বেগুন, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, ছোলা, তেল, মাংসসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে যায়। প্রতিবছরই এ সময়টাতে দাম বাড়ানোর অভিযোগ শোনা যায়। বোধ হয় সে কারণেই এক সমন্বয়সভায় আসন্ন রোজায় পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। নিত্যপণ্যের বাজার চরম অস্থির, কাঁচাবাজার চড়া। তার চাপ পড়তে শুরু করেছে সংসারে। রোজা শুরুর আগেই যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে রোজায় বাজার কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? বাজার যদি সাধারণের সাধ্যের বাইরে চলে যায়, তাহলে সংসারে তো চাপ বাড়বেই।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে মাছ, মাংস, ডিম ও সবজির দাম একসঙ্গে বেড়েছে। রোজার মাসে বাজারে সব জিনিসের দাম আরো বাড়তে পারে—এমন আশঙ্কা ক্রেতাসাধারণের। এই আশঙ্কা যদি শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়, তাহলে বাজার পরিস্থিতি যে সাধারণের সাধ্যের বাইরে চলে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের বাজারব্যবস্থায় কোনো নিয়ন্ত্রণ যেমন নেই, তেমনি নেই কোনো প্রতিযোগিতাও। আর এই সুযোগটি অসাধু ব্যবসায়ীদের বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগাতে দেখা যায়। বন্যা-বৃষ্টি, যানজট এ রকম নানা অজুহাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হয়। আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়ানো হয় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে। এখন বাজারে জিনিসপত্রের, বিশেষ করে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাত হচ্ছে এ সময় উৎপাদন কমে যায়। কখনো কখনো সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতও দেওয়া হয়।
দেশে এখন পর্যন্ত বিকল্প কোনো বাজারব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় পণ্যের দাম ইচ্ছামতো বাড়ানোর সুযোগ অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাচ্ছে। একতরফা এই ব্যবস্থা থেকে ক্রেতাসাধারণকে মুক্তি দিতে পারে বিকল্প বাজারব্যবস্থা, যা গড়ে তোলা অসম্ভব নয় বলেই আমরা মনে করি। আমরা চাই, বাজার স্থিতিশীল রাখতে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।