শীতের সকাল

41

মোঃ নাফিউল ইসলাম যশোরী

শীতের সকাল,
কুয়াশার ভোর,
সুপ্রভাতে খুলিয়া দেখি দোর,
শীত উষ্ণ জড়াইয়া ধরে মোর।

তাকাইয়া দেখি সামনের দিকে
সবি যেন লাগে সাদা,
কৃষ্ণ বর্ণের ভেড়াটাও যেন
দেখায় অপরূপা।

যাইতেছিলাম মসজিদ দিকে,
তাকাইয়া দেখি পিছু,
একজন গাছি যাইতেছে মাঠে
লইয়া সাথে কিছু।
ডাক দিলাম তারে বলিলাম গাছি
নামাযটা যাও পড়ি,
বলিলো গাছি ব্যস্তযে আছি
হয়ে গেছে বহু দেরি,
ফিরিতে হবে বাড়ি খুবি তাড়াতাড়ি
নিয়ে যে রসের হাড়ি।

কথাটাযে শুনে মনে ব্যথা নিয়ে
গেলাম যে নামাযে,
কত মানুষ জানি পড়িয়া নামায
যাইতেছে কাজে।
এমনও যদি হতো,
গাছি গাছ থেকে পড়িয়া গেছে মারা,
কিবা হতো তার রসের হাড়ি,
সবি হতো সর্বহারা।

কাজের জন্য যারা ধর্মকে দিয়ে বাদ
গড়েছে রাজপ্রসাদ,
তারাকি জানেনা তাদের মরণে
তাদের নেই কোন হাত।
চল কাজের চেয়ে ধর্ম বড়
গাহি এই সত্য গান,
সবার উপরে সবচেয়ে বেশি
ধর্মকে দিই সম্মান।