১৫ আগষ্ট ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছক ॥ কলকাতায় জেএমবির তিন জঙ্গি গ্রেফতার

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস ও ভারতের স্বাধীনতা দিবস- একই দিনে আগামী ১৫ আগষ্টে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছক কষেছিল কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন জঙ্গিসহ জেএমবি জঙ্গিগোষ্ঠী। বাংলাদেশ ও ভারতে একই দিনে আগামী ১৫ আগষ্টে সিরিজ জঙ্গি হামলা করতে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা ছাড়া আরও ২০-২৫ জঙ্গি রয়েছে যাদের নাম পাওয়া গেছে। মালদা সীমান্তের চোরাই পথে বাংলাদেশ থেকে অন্তত আরও ১৫ জেএমবির জঙ্গি ভারতে ঢুকেছে। এ ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারত- দুদেশের সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর নজরদারিসহ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে কলকাতার স্পেশাল ফোর্স-এসএটিএফ। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
কলকাতার স্পেশাল ফোর্স-এসটিএফ জানিয়েছে, কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের জেএমবির তিন জঙ্গির নাম নাজিউর রেহমান, শাব্বির ও রেজাউল। তিন জঙ্গির মধ্যে নাজিউর ওরফে জোসেফ বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-বিজিবির বরখাস্ত হওয়া সদস্য। কাশিমপুর কারাগারে বন্দী হরকাতুল জিহাদ-হুজির সদস্য আল আমিনের ভায়রা নাজিউর ওরফে রেজাউল। নিজেদের পরিচয় গোপন করে কলকাতায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে ফল বিক্রেতা সেজে জঙ্গি তৎপরতার চালাচ্ছিল তারা। বাংলাদেশের তিন জঙ্গির সঙ্গে ভারতের আরও তিন জঙ্গি গ্রেফতার করেছে কলকাতার স্পেশাল ফোর্স-এসটিএফ। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা বলেছে, বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবসে ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তারা জঙ্গি হামলা ছক কষেছিল।
কলকাতার স্পেশাল ফোর্স-এসটিএফ কর্মকর্তারা বলেছেন, জঙ্গি হামলার বিষয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস ও ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্টের আগে নাশকতা ঘটাতে সক্রিয় হয়ে উঠে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী। আর এর মাঝেই রবিবার কলকাতা শহর থেকে তিন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহরের বুকে কিভাবে নাশকতার ছক কষা চলছিল তা নিয়ে তদন্তে নেমে গোয়েন্দাদের কাছে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এদিকে তিন জঙ্গিকে সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে জঙ্গিদের।
কলকাতার স্পেশাল ফোর্স-এসটিএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে মালদা সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারতে আসা বাংলাদেশের জেএমবির অন্তত ১৫ জঙ্গির খোঁজ খবর নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাংলাদেশের জেএমবির জঙ্গিরা ভারতে এসে আত্মগোপন করে আছে। বাংলাদেশের তিন জঙ্গি ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছে ভারতের জেএমবি শাখার আরও তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কলকতার স্পেশাল ফোর্স-এসটিএফ। কলকাতার স্পেশাল ফোর্স-এসটিএফ গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের বড় ধরনের বোমা হামলার নাশকতার পরিকল্পনার যে তথ্য পেয়েছে সেই বিষয়ে অবহিত করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে। ঢাকার গোয়েন্দা সংস্থাও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া জঙ্গিদের তালিকা চেয়েছে।
কলকাতার স্পেশাল ফোর্স-এসটিএফ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ছয় জঙ্গিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা বলেছে, বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি ও ভারতীয় জেএমবি জঙ্গিরা যৌথভাবে একই দিনে বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছে।
বাংলাদেশে জঙ্গিবিরোধী অব্যাহত অভিযানের মুখে বাংলাদেশের জেএমবির জঙ্গিরা ভারতে গিয়ে ভারতের জেএমবি শাখার জঙ্গিদের সঙ্গে যৌথভাবে একই দিনে সিরিজ বোমার মতো জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করে কয়েক দফা গোপন বৈঠক করেছে। কলকাতার স্পেশাল ফোর্স-এসটিএফ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে দুদেশের মধ্যে জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
ঢাকার গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস ও ভারতের স্বাধীনতা দিবস একই দিন ১৫ আগস্ট। একই দিনে বাংলাদেশ ও ভারতে অতীতেও জঙ্গি হামলার ছক কষেছে জঙ্গিগোষ্ঠী। দুদেশই জঙ্গি হামলার বিষয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে এবং জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০১৭ সালে জাতীয় শোক দিবসে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছে জেএমবির জঙ্গিগোষ্ঠী। ওই বছর রাজধানীর পান্থপথের যে হোটেলে অভিযান হয়, তার নাম ওলিও ইন্টারন্যাশনাল। এই আবাসিক হোটেলে পুলিশের অভিযানের সময় বিস্ফোরণে সন্দেহভাজন এক জঙ্গি নিহত হয়েছেন। জাতীয় শোক দিবসের র‌্যালিতে হামলার উদ্দেশ্যে ওই জঙ্গি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কাছের এই হোটেলে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে পুলিশের দাবি। ওই বছর জাতীয় শোক দিবসের দিন সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যখন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন, তখন সেখান থেকে চার-পাঁচশ’ মিটার দূরে ওই ভবন ঘিরে অভিযান চালাচ্ছিলেন পুলিশ ও সোয়াট সদস্যরা। অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত যুবক নব্য জেএমবির সদস্য। অভিযানের সময় আত্মসমর্পণের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে তিনি ‘সুইসাইড ভেস্টে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী’ হয়েছে। ‘অপারেশন অগাষ্ট বাইট’ নামের ওই অভিযানে নিহত যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর সাইফুল খুলনা বিএল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। ওই কলেজে তিনি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিল। সাইফুলের বাবা আবুল খায়ের মোল্লা জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন শাখার কোষাধ্যক্ষ। সাইফুল নিজেও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের সঙ্গে চলাফেরা করত। পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, ৩২ নম্বরকে কেন্দ্র করে যেসব মিছিল আসবে, সেই মিছিলে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাবে জঙ্গিরা। শত শত লোক মেরে ফেলার প্রস্তুতি ছিল তাদের। এ খবরের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্টার
টেররিজমের সদস্যরা পান্থপথ এলাকায় নজরদারি শুরু করেন। অবশেষে একজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশ ওই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণ করতে বললেও সে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়নি। বাধ্য হয়ে পুলিশ যখন অভিযান শুরু করে, তখনই সে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে হোটেলের দরজা উড়ে যায়। আরেকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর আগেই পুলিশ গুলি করে। সাইফুল এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা সুইসাইড ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটান। জাতীয় শোক দিবসে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
কলকতর স্পেশাল ফোর্স-এসটিএফের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরেই ভারতের স্বাধীনতা দিবসে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা। ২০১৫ সাল থেকে প্রায় প্রতি বছরই ভারতের স্বাধীনতা দিবসে জঙ্গি হামলা এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কায় দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তজুড়ে রেড এলার্ট জারি করে আসছে ভারত। সীমান্ত পেরিয়ে কয়েক জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছে। স্বাধীনতা দিবসে তারা হামলা করতে পারে এমন নির্দেশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের সব রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র সরকার। ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকার বাসস্ট্যান্ড ও ট্রেন স্টেশন এলাকায় যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে আসছে দেশটির পুলিশ, জিআরপি ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। জঙ্গি হামলার ভয়ে স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রতি বছরই ভারত সরকার সীমান্ত সিল করে থাকে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় বাড়তি তল্লাশি ও নজরদারি করলেও এবার পুলিশ, বিএসএফ, জিআরপি ও গোয়েন্দা সংস্থ বেশ সক্রিয় বলে জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গসহ সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্যের সড়ক ও রেলপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত সেনা ও নজরদারি বাড়ানো হয়। এই প্রথম পানিপথেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। কলকাতাসহ আশপাশের হোটেল ও আবাসিক এলাকাগুলোতেও চালানো হয় কড়া নজরদারি। ভারতগামী ও ভারত থেকে আগত বাংলাদেশী পাসপোর্টযাত্রীদের ব্যাগও নানাভাবে তল্লাশি করে পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ঈশান ঘোষ রোডের একটি বাড়ি থেকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির তিন সন্ত্রাসীকে। ধৃতদের নাম যথাক্রমে নাজিউর রেহমান, শাব্বির ও রেজাউল। ইতোমধ্যেই তাদের কাছ থেকে কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, বাংলাদেশের পাসপোর্ট এবং জেএমবি সম্পর্কিত প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি এসটিএফ উদ্ধার করেছে। যে বাড়িটিতে তিন জঙ্গি ভাড়া থাকত সেটিতে রীতিমতো চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই তিনজনকে গ্রেফতারের পরই এদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসটিএফ। জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা আল আমিনের সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। নাজিউর ওরফে জোসেফই মূল সংযোগকারী। জেএমবির আরেক শীর্ষ নেতা তাসনিমের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ধৃতদের। সম্ভবত তার নির্দেশেই ভারতে এসেছিল ধৃতরা।
বাংলাদেশের তিন জেএমবি জঙ্গি হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ঈশান ঘোষ রোডে একটি বাড়িতে দুটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল। বাড়িওয়ালাকে একজন নিজের পরিচয় দিয়েছিল ফল বিক্রেতা হিসেবে। আর দুই জন ছাতা সারানোর কাজ করত বলে জানিয়েছিল। কয়েকদিন হলো নতুন জায়গায় গিয়েছিল তিনজন। তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক। যদিও ওই এলাকায় অনেকদিন ধরেই তারা থাকত। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং বাড়িওয়ালা কেউই বিন্দুমাত্র টের পাইনি যে, এরা পেছনে পেছনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্কফোর্স একটি অভিযান চালিয়ে জেএমবির এই তিন জনকে গ্রেফতার করে। বাংলাদেশের কাশিমপুর জেলে বন্দী জেএমবি জঙ্গি নাহিদ তাসনিমের নির্দেশেই কলকাতায় ঘাঁটি গেড়েছিল এই তিন সন্ত্রাসী। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানতে পেরেছে এসটিএফ। ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল মালদা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর তারা সারা ভারতে ছড়িছে পড়েছে বলে এসটিএফ এর দাবি।
কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া তিন জঙ্গির মধ্যে থাকা নাজিউর ওরফে জোসেফ বিজিবির বরখাস্ত সদস্য। বাংলাদেশের কাশিমপুর জেলে বন্দী হুজি জঙ্গি আল আমিন সম্পর্কে নাজিউরের ভায়রা। মগজ ধোলাইয়ের পর নাজিউর জেএমবির অনুগামী হয়ে পড়ে। বিজিবি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর চলে যায় কলকাতায়। পরিচয় গোপন করে বাড়ি ভাড়া নেয়। গ্রেফতার হওয়া জেএমবির তিন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানতে পেরেছে কলকাতার এসটিএফ (স্পেশাল টাস্কফোর্স)।
একসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ১৫ জন জেএমবি জঙ্গি কলকাতায় গিয়েছিল। তারা ভারতের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর, কয়েকজন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িষ্যায় আশ্রয় নিয়েছে। বাকিরা জম্মু-কাশ্মীরের পথে গেছে। নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ, মিকাইল খান ওরফে শেখ সাবির এবং রবিউল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে জেএমবি জঙ্গিদের থাকা-খাওয়ার জন্য অর্থের জোগান দিত জামাতের রবারি উইং বা ডাকাতি শাখা। যার প্রধান হুজি লিডার আল আমিন। স্লিপার সেল তৈরির জন্য কলকাতায় কয়েকটি ব্যাংক, বড় গয়নার শোরুমে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল ধৃত জঙ্গিদের।