সঠিকভাবে ময়লা ব্যবস্থাপনার দাবি ॥ শাবির টিলার পাশে ময়লার ‘ভাগাড়’

37

শাদমান শাবাব শাবি থেকে :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (শাবি) ক্যাম্পাসে বেশকিছু ছোট ছোট টিলা ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন বাড়িয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসে ময়লা বাহিরে নেওয়ার সুযোগ না থাকায় ক্যাম্পাসের ময়লা সংগ্রহ করে টিলার পাশে ফেলা হয়। এতে ক্যাম্পাসের গাজী-কালু টিলার পাশে যেন ময়লার ‘ভাগাড়ে’ পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন ক্যাম্পাসের ময়লা ক্যাম্পাসের টিলার পাশে ফেলায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এজন্য তারা সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ময়লা ক্যাম্পাসের বাহিরে নেওয়ার দাবি জানান।
গতকাল মঙ্গলবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পাস থেকে ময়লা নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের সামনের টিলার নিচে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এদিকে বিশ^বিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের ময়লা তার সামনে বা পাশেই ফেলা হয়। এতে প্রায়ই ময়লা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। আবার বিশ^বিদ্যালয়ের শাহ পরান হলের সামনে নিচু জায়গায় যে ময়লা ছিলো তার অনেকটা বৃষ্টির পানির সাথে ভেসে গেছে।
বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েকজন পরিচ্ছন্ন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘ক্যাম্পাসের বাহিরে ময়লা নেওয়ার সুযোগ না থাকায় বিল্ডিংয়ের ময়লাগুলো পরিষ্কার করে ওখানে টিলার পাশে ফেলা হয়। আর হলের ময়লা হলের পাশে নিদিষ্ট জায়গায় ফেলা হচ্ছে।’
এদিকে বিশ^বিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাবির পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘গ্রীন এক্সপ্লোর সোসাইটি’র সভাপতি মো. মাকসুদুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ক্যাম্পাসের প্রায় সব ময়লাই যেন জমা করেছে এখানে। প্রচন্ড দুর্গন্ধ ও ময়লার দৃষ্টিকটু দৃশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সাথে বেমানান। আর বৃষ্টির পানিতে এসব ময়লা মিশে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে বয়ে যায় ছড়ার (প্রাকৃতিক ছোট খাল) পানিতে। এতে পানি দূষিত হচ্ছে এবং প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো নর্দমায় পড়ায় জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ রক্ষার্থে এখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করে দ্রুত ময়লা ক্যাম্পাসের বাহিরে নিয়ে সঠিক ব্যবস্থাপনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের ফোনে যোগাযোগ করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘ময়লা ব্যবস্থাপনার জন্য একটা প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। আগামী ছয়-সাত মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে, আমরা আশা করছি তখন বিশ^বিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ সব সময় বজায় থাকবে।’