জৈন্তাপুরে প্রায় ৫ শত একর বোরো ভূমির বেড়িবাঁধে বৃক্ষ রোপণ

6
জৈন্তাপুরে সোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে কৃষি আওতায় নিয়ে আসা প্রায় ৫ শত একর বোরো ধানের জমির বেড়িবাঁধে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুরে নিজস্ব পতিত ভূমি বোরো ধানের আওতায় নিয়ে আসতে সোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে ৭১টি পরিবারের প্রায় ৫শত একর ভূমি প্রথম বারের মতন বোরো ফসলের আওতায় নিয়ে আসতে নিজ উদ্যোগে ১০ হাজার ফুট বেড়ি নির্মাণ ও বাঁধ রক্ষায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালন করে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, হিঙ্গারীকোন (শিংকুড়িকোনা) এলাকার সোটারী সেনগ্রামের কৃষকদের নিজস্ব ভূমি পতিত হিসাবে হাওরে পড়ে রয়েছে বিশেষ করে বেড়ি বাঁধের অভাবে কোন সময় পতিত ভূমিগুলো কৃষি চাষাবাদের আওতায় আসেনি। এবার নিজ উদ্যোগে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথম বারের মত প্রায় ৭১টি পরিবারে সদস্যরা প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার ফুট বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করে প্রায় ৫ শত একর ভূমি বোরো ধান চাষাবাদের উপযোগী করে তুলে। বাঁধটি বন্যার পানি এবং ফসল রক্ষার জন্য সোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠন বাঁধটির উপর ১৫ হাজার বৃক্ষের চারা রোপণের উদ্যোগ নেন। গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় সংগঠনের সভাপতি আহমদ আলীর সভাপতিত্বে জৈন্তাপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেব আহমদ, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নোমান আহমদ, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির উপস্থিতিত হয়ে বৃক্ষের চারা রোপণ উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত আরও উপস্থিত ছিলেন সোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের সদস্য কলিম উল্লাহ, আহমদ আলী, হানিফ আলী, নুরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, হাজী নজির হোসেন, কুদ্রত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের সভাপতি বলেন, আমরা নিজ উদ্যোগে বাঁধটি নির্মাণ করার ফলে স্বাধীনতার পরবর্তীতে প্রথমবারের মত আমাদের নিজস্ব পতিত ভূমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসায় আমাদের ৭১টি পরিবারের ৮ শতাধিক সদস্যরা নিজ উৎপাদিত ধানে দিয়ে পুরো বৎসর চলে গিয়ে আরও বিক্রয় করতে পারব। আমরা আশাবাদি জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস যদি কৃষকদের মধ্যে বোরো ধান চাষের পরামর্শ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন তাহলে আমরা চাহিদার চাইতে আরও বেশি ফলন পাব। উপজেলায় সর্ববৃহৎ বোরো ধানের একটি বড় প্রকল্প হবে হিঙ্গারী কোন (শিংকুড়িকোনা) বোরো ধান প্রকল্প।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি তাদের নিজস্ব ভূমিতে বাঁধ নির্মাণ করে বোরো ধান চাষের আওতায় নিয়ে আসার কারনে ফাল্লি বিলের ইজারাদার আব্দুল খালিক, জয়নাল মিয়া, আব্দুল্লাহ ও তোতা মিয়া গংরা শত্র“তা শুরু করেছে। তারা বাঁধটি ভাঙ্গার পায়তারা করতেছে। ইতোমধ্যে ইজারাদার গংরা ফাল্লি বিল ইজারা নিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে তাদের বাঁধটি তিনটি অংশে কর্তন করে। এই বাঁধ কর্তনের কারনে চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। তারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারের সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক আইনি সহযোগিতা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি