মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হউক

26

প্রাথমিক সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রাথমিক সমাপনীতে এবার ৯৫.৫০ শতাংশ এবং ইবতেদায়িতে ৯৫.৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। প্রাথমিক সমাপনীতে জিপিএ ৫ পেয়েছে তিন লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন। আর ইবতেদায়িতে পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৭৭ জন। এবার প্রাথমিকে পাসের হার কমেছে ২.০৯ শতাংশ। আর ইবতেদায়িতে পাসের হার কমেছে ১.৭৩ শতাংশ। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৮৭.৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী। ৭৮ হাজার ৪২৯ জন পেয়েছে জিপিএ ৫। গতবারের চেয়ে এ বছর পাসের হার ২.৭ শতাংশ বেড়েছে। এ পরীক্ষায় এবার পাসের হারের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে; কমেছে শূন্য পাসের বিদ্যালয়ের সংখ্যা। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় দেশের এবার পাঁচ হাজার ২৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী পাস করেছে। আর ৩৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।
যেকোনো পরীক্ষায়ই সাফল্য সবার কাম্য। কয়েক বছর থেকে ধারাবাহিকভাবে বছরের শুরুর দিনটিকে বই উৎসব হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে। এই দিনে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় নতুন বই। এখন সেখানে বছরের প্রথম দিনেই শুরু হয়ে যাচ্ছে শিক্ষাবর্ষ। লেখাপড়ার ভেতর দিয়ে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে কতটা মানসম্মত করে তুলতে পারছে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হিসেবে বিবেচিত হতে হবে। আমাদের মানসম্মত শিক্ষার্থী প্রয়োজন, যাতে বিশ্বায়নের যুগে তারা বিশ্বের সঙ্গে শুধু তাল মিলিয়ে নয়, প্রতিযোগিতা করে চলতে পারে। আমাদের শিক্ষার মান আরো উঁচুতে নিতে হবে। শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে চাই মানসম্মত শিক্ষক। বলতে দ্বিধা নেই, সব পর্যায়েই মানসম্মত শিক্ষকের অভাব রয়েছে। গ্রামের সঙ্গে শহরের ফারাকটাও চোখে পড়ার মতো। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক চেষ্টায় শিক্ষার উন্নত মান নিশ্চিত হবে।
জেএসসি-জেডিসি ও প্রাথমিক সমাপনীতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন।