জগন্নাথপুরে প্রেম ও ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়, গ্রেফতার ৪

11
জগন্নাথপুরে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা।

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
আগের প্রেম ছিল পবিত্র। ছিল মনের আদান-প্রদান। বর্তমানের অধিকাংশ প্রেম হচ্ছে দেহের মিলন। যে কারণে সমাজে ঘটছে একের পর এক অঘটন। এ রকমই জগন্নাথপুরে পৃথক স্থানে দুইটি প্রেম ও ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। এর মধ্যে একটি ঘটনায় ধর্ষক সহ ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। অন্যটি সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর পৌর এলাকার হাসিমাবাদ গ্রামের এক কন্যার সাথে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা গ্রামের এক ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সুবাদে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জগন্নাথপুর বাজারের একটি আবাসিক হোটেলে রেখে টানা ৩ দিন ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর ধর্ষক আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সে খাশিলা গ্রামের আমিন উল্লার ছেলে। সেই সাথে তাকে সহায়তাকারী আরো ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন পৌর এলাকার ইকড়ছই গ্রামের মৃত পাখি মিয়ার ছেলে সালাহ উদ্দিন, নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানার আট নাইয়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে অনিক মিয়া ও জগন্নাথপুর উপজেলার বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের আবদুল মালিকের ছেলে সুহেল মিয়া। গ্রেফতারকৃতদের ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার এসআই অনিক চন্দ্র দেব বলেন, ধর্ষিতাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে-জগন্নাথপুর পৌর এলাকার পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের এক ব্যক্তি আরেক কন্যার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সুবাদে হয় শারীরিক সম্পর্ক। প্রেমিক তার প্রেমিকাকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করতে চাইলেও প্রেমিকা রাজি হয়নি। এক পর্যায়ে অন্যত্র প্রেমিকের বিয়ের তোড়জোড় শুরু হলে প্রেমিকা তার প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন। এ ঘটনায় পুলিশ প্রেমিককে আটক করলেও বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার এসআই অনুজ কুমার দাশ বলেন, ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে সামাজিক ভাবে প্রেমিক জুটির বিয়ে হওয়ায় বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি হয়েছে।