জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানীর পশুর হাট, প্রস্তুত “কাজিরবাজার”

19

ষ্টাফ রিপোর্টার :
ঈদুল আযহার আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকী। এ অবস্থায় জমে উঠতে শুরু করেছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কোরবানীর পশুর হাট কাজিরবাজার। শুক্র ও সোমবার এ বাজারে হাটবার। এই হিসেবে গতকাল সোমবার ছিল হাটবার। যে কারণে ঈদকে সামনে রেখে গতকাল ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় বেশ জমে উঠেছিল হাট। এরই মধ্যে সিলেট বিভাগসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পাইকার ও বেপারীরা কোরবানীর পশু নিয়ে হাটে আসতে শুরু করেছেন। গত রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত বেশ কিছু ট্রাক ও পিকআপে পশু নিয়ে হাটে ঢুকতে দেখা গেছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রচন্ড রোদের মধ্যেও প্রচুর সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতা হাটে রয়েছেন। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বেশীর ভাগ ক্রেতাই দরদাম করছেন, বাজার বুঝার চেষ্টা করছেন। তাদের মতে, শহরের লোকজনের বাসা বাড়িতে পশু রাখার মতো জায়গা তেমন একটা নেই যেকারনে শহরের ক্রেতারা সাধারণত ঈদের দু’একদিন আগে পশু কিনে থাকেন। তারপরও গতকালের বেচা-বিক্রেতে তারা সন্তোষ।
নগরীর আখালিয়া করেরপাড়া থেকে আসা ক্রেতা গোলাম রব্বানী যিনি পেশায় ব্যাংকার তার সাথে আলাপকালে তিনি বললেন, বাসার ছোট বাচ্চারা বায়না ধরেছে কোরবানীর পশুর হাটে আসবে। তাই বাধ্য হয়ে তাদের নিয়ে এসেছিলেন। তবে তিনি বললেন, আমি প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি। দরদামে হলে সাধ্যের মধ্যে একটি গরু নিয়ে যাবো। দামের ব্যাপারে তিনি বললেন, সবেমাত্র বাজার শুরু হয়েছে এখনতো দাম একটু চড়া থাকবে। যতসময় গড়াবে পশুর আমদানী বাড়বে বাজারও কিছুটা নামবে। গরুর পাশাপাশি হাটে প্রচুর পরিমাণ ছাগল ও ভেঁড়া উঠেছে। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্যণীয়। এদিকে, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পুরোপুরি প্রস্তুত ঐতিহ্যবাহী কাজিরবাজার পশুর হাট। হাটে পর্যাপ্ত লাইটিং, পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ আনুষঙ্গিক প্রায় সব কিছুই সম্পন্নের পথে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু’একদিনের মধ্যে পর্যাপ্ত আইন শৃংখলা বাহিনী মোতায়েনসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরধারী প্রদান করা হবে। পাশাপাশি হাট সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করবেন। এছাড়া সরকারী-বেসরকারী ব্যাংকের পক্ষ থেকে জালনোট শনাক্তের জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও বুথ স্থাপন করা হবে।
কাজিরবাজার পশুর হাটের প্রস্তুতি সস্পর্কে জানতে চাইলে হাটের ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসেন লোলন বলেন, আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য যা-যা করা দরকার এবারও তাই করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবার বৃষ্টি ও আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে পশু রাখার জন্য শেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। যাতে করে ক্রেতা-বিক্রেতারা তাদের সুবিধা ও পূর্ণ নিরাপত্তায় কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।