মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা

8

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ অবশেষে চলতি বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচী ঘোষণা করেছে। তদনুযায়ী আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা এবং ২ ডিসেম্বর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত রুটিনও প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। তবে পিইসি জেএসসি জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না এবার। উপরোক্ত পরীক্ষা গৃহীত হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, সকালে ও বিকেলে দুই শিফটে। তিন বিষয়ে সবার জন্য ৬টি করে পরীক্ষা গৃহীত হবে, নম্বর ৫০, সময় দেড় ঘণ্টা। কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রথমে বহু নির্বাচনী এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় নির্ধারিত হয়েছে দেড় ঘণ্টা। এদিকে সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে, যা চালু হতে পারে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে। এর আগে খুলবে হলগুলো। তবে সর্বত্রই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে। কিছু তরুণের মধ্যে সর্বদাই নিয়ম-কানুন ও বিধিনিষেধ না মেনে চলার প্রবণতা রয়েছে। কোভিড-১৯ অতিমারীর বিবেচনায় তরুণ শিক্ষার্থীরা সংযত আচরণ করবে বলেই প্রত্যাশা। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের স্কুলগুলো খুলে দেয়া হলেও পুরোদমে চালু করা যায়নি। ধাপে ধাপে শুরু হবে সকল শ্রেণীর পাঠ কার্যক্রম। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে তা স্বাভাবিক পর্যায়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। সবকিছুই নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি-অবনতির ওপর। এদিকে সরকার ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, নিঃসন্দেহে যা ইতিবাচক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় করোনার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আরও কিছু ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ও পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস ও পাঠদান বন্ধ থাকলেও রেডিও-টেলিভিশন-অনলাইনে ক্লাস নেয়া ও পরীক্ষা চলেছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণ দেয়ার পাশাপাশি ই-লার্নিং-এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে সরকার। করোনার কারণে অনেক অভিভাবকের আয় সঙ্কুচিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দিতে অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও মেধাবীদের জন্য শিক্ষাঋণ চালু হলে ভুক্তভোগীরা সমূহ উপকৃত হবে। পাশাপাশি ই-লার্নিং শিক্ষার্থীদের নতুন বিষয়ে দক্ষতা যুগোপযোগী হতে সহায়তা করবে অর্জনসহ। প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে দেশে। করোনার কারণে তা আরও বেড়েছে। বেড়েছে বাল্যবিয়ের হার। তারা কোথায় যাবে বা কি করবে? জীবন-জীবিকাই বা নির্বাহ করে কিভাবে? করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথাও শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত শিক্ষাদান ব্যাহত হলে সংশ্লিষ্টদের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েও ভাবতে হবে অবশ্যই।