কৃষকদের ভোগান্তি চরমে শনির হাওরের আভ্যন্তরীণ জাঙ্গাল, একাধিক স্থানে ভাঙ্গা

63

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
শনির হাওরে বোরো ফসল উঠা নামার আভ্যন্তরীণ দু’টি জাঙ্গাল (সড়ক) একাধিক স্থানে ভাঙ্গা কৃষকদের ভোগান্তি চরমে। সড়ক দু’টির মধ্যে একটি বড় জাঙ্গাল নামে অন্যটি নিজাম হাজীর জাঙ্গাল নামে হাওরপারের কৃষকদের কাছে পরিচিত।
সরজমিন শনির হাওর বড় জাঙ্গাল পথ ধরে হাওরের ভেতর পাতারিয়া জাঙ্গালে গিয়ে দেখা যায়, বড় জাঙ্গাল ও পাতারিয়া জাঙ্গালের সংযোগ স্থানে পাশাপাশি দু’টি ভাঙ্গা রয়েছে। ভাঙ্গা দুটি পার হয়ে পাতারিয়া জাঙ্গাল পথ ধরে কিছুটা পশ্চিম দিকে নিজাম হাজীর জাঙ্গালের দিকে এগুলো আরও দুটি ভাঙ্গা চোখে পড়ে।
হাওরের দুটি আভ্যন্তরীণ সড়ক বা জাঙ্গাল পথের একাধিক স্থান ভাঙ্গা থাকার কারণে বোরো ধানের চারা পরিবহন, এক জমি থেকে অন্য জমিতে পাওয়ার ট্রিলার যাতায়াত, জমিতে ভ্যান কিংবা ঠেলা গাড়ি করে সেচ পাম্প কিংবা সার পরিবহন করতে গিয়ে কৃষকরা পড়ছেন মারাত্মক বিপাকে। জানা যায় জেলার বৃহৎ বোরো ফসলি শনি হাওরে বিভিন্ন গ্রামের কৃষদকদের ফসল উঠা নামার জন্য হাওরের অভ্যন্তরে কমপক্ষে ১০টি সড়ক রয়েছে। যে গুলো স্থানীয় ভাষায় জাঙ্গাল হিসাবে পরিচিত। আর এ ১০টি জাঙ্গালের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জাঙ্গাল হল মধ্য তাহিরপুর গ্রামের সামনে বড় জাঙ্গাল ও ভাটি তাহিরপুর গ্রামের সামনে নিজাম হাজীর জাঙ্গাল।
গত বছর বৈশাখ মাসে এ দু’টি সড়ক বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যায়। চলতি বছর সড়কগুলো মেরামত না করায় বোরো রোপন মৌসুম থেকে কৃষক পরিবার পড়ছে নানামুখী সমস্যায়। আর কিছু দিন পর শুরু হবে ধান কাটা ও মারাই। এ সময়ের মধ্যে যদি হাওরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে স্থানে স্থানে ভাঙ্গা গুলো মেরামত না করা হয় তাহলে হাওর থেকে ধান পবিহন করে মাড়াই খলা পর্যন্ত নিয়ে আসতে কৃষকদের পড়তে হবে নানা ভোগান্তিতে।
চলতি বছর শনির হাওরে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ করা হয়েছে। রোপণকৃত জমির অধিকাংশ কৃষক পরিবার হাওরে কৃষি কাজে যাতায়াত করেন এ দু’টি পথ ধরে।
শনির হাওর পার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের কৃষক মাফিক মিয়া বলেন, হাওরের জাঙ্গাল (সড়ক) ভাঙ্গা থাকায় জমি রোপণের সময় ধানের চারা নামতে গিয়ে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
শনির হাওর পার উজান তাহিরপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, জাঙ্গালগুলো মেরামত না করা হলে বৈশাখ মাসে ভোগান্তির শেষ থাকবে না।
পাওয়ার ট্রিলার মালিক উজান তাহিরপুর গ্রামের শুনো মিয়া বলেন, শনির হাওরে জাঙ্গালগুলো ভাঙ্গা থাকায় পারাপারে যে ভোগান্তি হয়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য মতিউর রহমান বলেন, গত বছর বৈশাখ মাসে দু’টি জাঙ্গাল তিন চার স্থানে ভেঙ্গে যায়। ভাঙ্গা জাঙ্গালগুলো পারপার হতে গিয়ে কৃষক নানমূখী সমস্যা পড়েন।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট নাই তার পরও আমি ব্যাক্তিগত ভাবে জাঙ্গালের ভাঙ্গাগুলো মেরামত করার চেষ্টা করবো।