গোলাপগঞ্জে ৩ দিনে জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতা আটক, পুরুষ শূন্য বিএনপি-জামায়াত পরিবার

42

সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
আটক আতংকে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে গোলাপগঞ্জের বিএনপি ও জামায়াত শিবির পরিবার। তাদের বেশির ভাগ লোক বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট ও নাশকতা মামলার পলাতক আসামী। তিন দিনে জামায়াত ও শিবিরের ৪ দায়িত্বশীল নেতাকে বিভিন্ন মামলায় আটক করে পুলিশ। এর আগে বিভিন্ন মামলায় বিএনপির বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতাকর্মীকে আটক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে গোলাপগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমীর সৈয়দ নাছির উদ্দিন (৬২) কে এসআই হেলাল নাশকতা মামলায় তার গোলাপগঞ্জের বাসা থেকে আটক করেন। পরে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। তিনি গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ঘোগারকুল গ্রামের মৃত সৈয়দ সিকন্দর আলীর ছেলে। (২১ নভেম্বর) দুপুরে গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ জামেয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জমির উদ্দিন (৫৮) কে নাশকতা মামলায় আটক করে পুলিশ। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই হেলাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উনার নিজ বাড়ী থেকে আটক করেন এবং পরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তিনি উপজেলার ফুলবাড়ী ইউপির হাজীপুর লরিফর গ্রামের মৃত মশাইদ আলীর ছেলে। পুলিশ জানায় আটককৃত জমির উদ্দিন ফুলবাড়ী ইউনিয়ন জামাতের সূরা সদস্য। এর আগে ২০নভেম্বর সন্ধায় গোলাপগঞ্জ থানা পশ্চিম ছাত্র শিবিরের সভাপতি এমদাদুল ইসলাম (২৭)সহ দুইজনকে আটক করা হয়। আটক শিবির সভাপতি উপজেলার ভাদেশ^র ইউপির ফতেপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ও সিলেট-৬ আসনের জামায়াতের এমপি প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমানের ভাতিজা। সোমবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে এসআই তপন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার লক্ষ্মীপাশা থেকে হেলাল আহমদ খাঁন (৫২) নামে ওই জামায়াত নেতাকে আটক করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউপির লক্ষ্মীপাশা গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে বলে পুলিশ জানায়। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি ওই ৪ জনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নাশকতা মামলায় তাদের আটক করা হয়। এ পর্যন্ত কতজন আসামী আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিএনপি-জামায়াতের লোকজন বিভিন্ন মামলার আসামী। কতজন আটক হয়েছেন এটা নির্দিষ্ট করে এখন বলা যাবে না। পুলিশ নাশকতাকারীদের শনাক্তের পর আটক করছে।