বিএনপির এতো বড় বড় আইনজীবীরা প্রমাণ করতে পারেন নি খালেদা জিয়া নির্দোষ – প্রধানমন্ত্রী

51

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আদালতের রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অপরাধীদের একদিন না একদিন সাজা পেতে হয়। আর এতিমের টাকা মেরে খাওয়া আল্লাহও পছন্দ করেন না।’
কানাডায় সেখানকার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কানাডার কেবেকে জি সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর রবিবার টরন্টোয় যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মেট্রো কনভেনশন সেন্টারে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তো গ্রেফতার করিনি। আদালত সাজা দিয়েছে। বিএনপির এত বড় বড় আইনজীবী, তারা তো প্রমাণ করতে পারেনি যে খালেদা জিয়া নির্দোষ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়ন হয় না। ওই স্বাধীনতাবিরোধী, ওই খুনিদের মদদদানকারী ক্ষমতায় এলে আবার দেশ রসাতলে যাবে।’
‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাটা আজকে শুরু হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হচ্ছে, গ্রাম পর্যন্ত যে উন্নয়ন হচ্ছে, এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে দেশের উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার গুরুত্বের বিষয়টিও প্রবাসীদের কাছে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলেই জি সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে বাংলাদেশকে দাওয়াত করেছে।’
প্রস্তাবিত নতুন বাজেটের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে বাজেট দিলেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যেতো। এখন বাজেট দিলে আর জিনিসপত্রের দাম বাড়ে না, বরং কমে। বাজেটে সাধারণ জনগণের জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে যাতে তারা জীবন যাপনে দুর্ভোগ না পোহান।’
আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলেই জি সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে বাংলাদেশকে দাওয়াত করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছি। আন্দোলন-সংগ্রাম করে নির্বাচনের সুষ্ঠু ধারা প্রতিষ্ঠিত করেছি।’
বছর শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি যেন অব্যাহত থাকে, সবাইকে সে বিষয়টা দেখতে হবে।’
২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ প্রায় স্থানীয় সরকার পর্যায়ে প্রায় ছয় হাজার নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি তুলে দরে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন নির্বাচনে তাদের (বিএনপি) প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। আমরা তো জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে যাইনি।’
২০১৫ সালের প্রথম দিকে বিএনপির লাগাতার কর্মসূচিতে নাশকতায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যদি রাজনৈতিকভাবে গ্রেফতার করতাম, তবে যখন সন্ত্রাস করেছে, মানুষ খুন করেছে, তখনই গ্রেফতার করতে পারতাম।’
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের মৃত্যুর পর সমবেদনা জানাতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঢুকতে বাধা পাওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি চাইলে ওই দিন বাইরে থেকে আরও দুটো তালা মেরে পুলিশ পাহারা বসিয়ে আসতে পারতাম।’
কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ মাহমুদ মিয়ার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফও বক্তব্য দেন।