সেনাবাহিনী নামছে আগামী সপ্তাহ থেকে

231

কাজিরবাজার ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগামী সপ্তাহ থেকে সারাদেশের ৬৪ জেলায় নামানো হচ্ছে সেনাবাহিনী। প্রত্যেক জেলায় সেনাক্যাম্প স্থাপন করা হবে। নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের চিঠি দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নিজস্ব কায়দায় দায়িত্ব পালন করলেও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধে সেনাবাহিনী নামাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফৌজদারি অপরাধ ছাড়া রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেফতার, হয়রানি, নির্যাতন না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ইসির নির্দেশ অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সেনাবাহিনীর ছোট ছোট টিম অবস্থান করবে দেশের প্রতিটি জেলায়। সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয় সাধনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট তথ্যাদি দিয়ে সেনাবাহিনীকে সাহায্য করবে। সেনাবাহিনীর কর্মপরিধি, কতদিন নিয়োজিত থাকবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। গত ৮ নবেম্বর তফসিল ঘোষণার দিন জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সিইসি বলেছেন, এবার সেনা মোতায়েন হবে আগের মতোই। অবশ্য সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না। দেশে এর আগের প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই সেনা মোতায়েন হয়েছে। ভোটের মাঠে সেনাসদস্যরা বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে নিয়োজিত থাকে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট। রবিবার ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র মতে, ৬৪ জেলায় পাঠানো বার্তায় পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় পলাতক ও জামিনপ্রাপ্ত জঙ্গী গ্রেফতারে অভিযান জোরদারের পাশাপাশি কোন গোষ্ঠী যাতে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আনতে না পারে সেজন্য সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি এবং কক্সবাজারের আশ্রয় ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বের হওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে থাকার কথাও বলা হয়েছে। নির্দেশে ফৌজদারি অপরাধ ছাড়া কাউকে আটক বা গ্রেফতার না করা, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, পেশাদার অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযানে জোর দেয়া, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি ১২ ঘণ্টা পরপর এলাকার তথ্য হালনাগাদ করে তা সদর দফতরে জানাবে, কোন বাড়িতে নতুন ভাড়াটিয়া এলে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা, হটস্পট চিহ্নিত করে টহল জোরদার করা ইত্যাদি।