কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাজেট ঘোষণার প্রাক্কালে কোন ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়েনি। বরং কমেছে রসুন ও পেঁয়াজের দাম। ঈদ সামনে রেখে চাহিদা বাড়লেও ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাড়েনি। এ বছর এখন পর্যন্ত দুধের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কমতে শুরু করেছে মাছ ও মাংসের দাম। আগামী সপ্তাহ নাগাদ নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে শুরু করবেন নগরবাসী। এ কারণে ঢাকায় ভোগ্যপণ্যের চাহিদা আরও কমবে। সব মিলিয়ে পণ্যমূল্য নিয়ে বাজারে কোন উত্তাপ নেই। ইফতারিতে বেশি ব্যবহার হয় মুড়ি, ছোলা ও খেজুরের দাম ইতোমধ্যে হ্রাস পেয়েছে। এতে বাজারে এক ধরনের স্বস্তি রয়েছে। জানা গেছে, বাজেট ঘোষণার পর জিনিসপত্রের দাম বাড়ার এক ধরনের প্রবণতা থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে সেটা পরিলক্ষিত হয়নি। বরং ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ও আমদানিতে ভর্তুকি, কর ও ভ্যাট ছাড় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেয়ার ফলে দাম কমে যাওয়ার মতো বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। কয়েক দফা অকাল বন্যা এবং খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় চলতি বছর ভোগ্যপণ্য আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে। চাল আমদানি উৎসাহিত করতে ২৬ শতাংশ শুল্ক ছাড় দিয়ে তা ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে করে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি করা হয়। এছাড়া রমজান মাস সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুরসহ অন্য পণ্যের আমদানি বাড়ান ব্যবসায়ীরা। এর ফলে রোজায় এবার কোন পণ্যের দাম বাড়েনি। বাজেট ঘোষণার পরও কোন পণ্যের দাম বাড়বে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাজেট ঘোষণার পর দেশে কোন জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না। গত দশ বছর ধরে দাম বাড়ার কোন প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়নি। এবারও বাজেট ঘোষণার পর কোন জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না।
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়েনি। বাজেট ঘোষণার প্রাক্কালে বরং কয়েকটি পণ্যের দাম কমেছে। রসুনের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকায়। যা গত সপ্তায় ৭০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ জাত ও মানভেদে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলা ৬০-৭৫, সরু চাল ৫৮-৬৬, মোটা চাল ৩৮-৪২, চাল মাঝারি ৪৮-৫৪, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার ৮৫-৮৮ এবং চিনি ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শাক-সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।