কৃষিজীবী মানুষের জন্য আনন্দদায়ক ও সুখপ্রদ সুসংবাদ এই যে, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উপজেলায় আসা-যাওয়া করে কৃষি সেবার জন্য আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। সেবার জন্য কৃষকের সময় বাঁচবে, হবে আর্থিক সঞ্চয়। এতে কৃষিজীবীদের পরিবারগুলোতে আসবে সচ্ছলতা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের দোরগোড়ায় কৃষি সেবা পৌঁছে দিতে দেশের বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষক সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। মূলত ‘কৃষি সেবার ওয়ানস্টপ সেন্টার’ হিসেবে স্থাপন করা হচ্ছে এসব কেন্দ্র। কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এসব কেন্দ্র ভূমিকা রাখবে। এর ফলে কৃষি উন্নয়ন আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। কৃষি সেবা যাবে কৃষকদের হাতের নাগালে। শেখ হাসিনার কৃষকবান্ধব সরকার গত দশ বছরে কৃষিকে সমৃদ্ধ করেছে নানাভাবে। কৃষিতে তাই প্রবৃদ্ধির জোয়ার দৃশ্যমান। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও সময়োপযোগী ভূমিকা রাখছে। আর এক্ষেত্রে দেশের কৃষি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অবদান এ খাতকে যে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে, তা আজ দেশ ও জাতির জন্য এক অভাবনীয় দৃষ্টান্ত। কৃষির সাফল্যের কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই কৃষি সেবা বদলে যাওয়ার এই পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদান রাখতে পারবে নিশ্চিত। শেখ হাসিনার সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সেবা কেন্দ্র স্থাপন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর (পাইলট) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের একুশ জেলার ২৪ উপজেলার ২৪ ইউনিয়নে এই কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় কুড়ি ইউনিয়নে আরও কুড়ি কেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।