বাংলাদেশের জলসীমায় মৎস্য লুট

7

সরকার সমুদ্র অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জোরালো ভূমিকা নিয়েছে, এর সঙ্গে প্রয়োজন সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ। নতুন অর্জিত সমুদ্রসীমায় দেশীয় ফিশিং বোটের মাঝি ও ট্রলারের নাবিকরা এখনও মৎস্য আহরণ শুরু করতে পারেনি আধুনিক বিভিন্ন উপকরণ না থাকার কারণে। ফলে ওই এলাকায় অনাহরিত রয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ মৎস্যসম্পদ, যা বিভিন্ন সময় লুট হয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই বাংলাদেশকে এই লুট বন্ধ করতে হবে। ইলিশের প্রজনন সুবিধার্থে বুধবার থেকে পরবর্তী ২২ দিন বিভিন্ন জেলার নদ-নদী ও মোহনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক না ভাবার কারণ নেই। এ সময় প্রতিবেশী দুই দেশের ফিশিং বোট ও ট্রলার যাতে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে ঢুকে মৎস্যসম্পদ লুট করতে না পারে সে বিষয়ে আরও কঠোর ভূমিকা পালনের আহ্বান অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
বাংলাদেশ সরকার সুনীল অর্থনীতি ধারণার সমর্থনে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগর এলাকায় আইইউইউ মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে লড়তে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সামুদ্রিক কূটনীতি অত্যাবশ্যক। আইইউইউ মৎস্য শিকার মোকাবেলায় উন্নত দেশসমূহ কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে। আইইউইউ মৎস্য শিকার মোকাবেলায় বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর গৃহীত পদক্ষেপ থেকে শিক্ষা নিতে পারে এবং তাদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারে। বঙ্গোপসাগর এলাকায় আমাদের আইইউইউ মৎস্য শিকার সম্পর্কিত ব্যাপক গবেষণা কার্যক্রম এবং সচেতনতা গড়ে তোলা ও প্রাসঙ্গিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা প্রয়োজন, যাতে করে আমরা আইইউইউ মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে স্থায়ী প্রতিবন্ধকতাসমূহের নিরিখে প্রয়োজনভিত্তিক সমাধানগুলো চিহ্নিত ও আবিষ্কার করতে পারি। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতায় সমুদ্র নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ একত্রে কাজ করতে পারে। পাশাপাশি আইইউইউ মৎস্য শিকার নিয়ন্ত্রণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারসহ নীতিনির্ধারক, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মতো সমুদ্রনিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সামুদ্রিক মৎস্য খাতের সকল অংশীদার, জাতীয়/আন্তর্জাতিক গবেষকদের একত্রে কাজ করা এবং এই লক্ষ্যে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলা বর্তমান সময়ের দাবি।