জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

3

 

জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে (জেসিপিএসসি) নানা কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস- ২০২৩’ উদযাপন করা হয়। ২১ নভেম্বর জেসিপিএসসি’র মাল্টিপারপাস শেডে ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বাংলাদেশের স্থপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের রূপকার, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক মো. আতাউর রহমান।
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারজানা হেলাল ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম আল সাজিদ এর যৌথ সঞ্চালনায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তারিফ এলাহী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার ও সম্মাননীয় সেনাপ্রধানের বাণী পাঠ করেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম নবীন।
দেশমাতৃকার বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন অবদান ও ভ‚মিকার উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি, রণসঙ্গীত, দেশাত্মবোধক গান ও নাটিকা ইত্যাদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে জেসিপিএসসি’র অধ্যক্ষ লে. মো: কুদ্দুসুর রহমান, পিএসসি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে অধ্যক্ষ বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ নভেম্বর ১৯৭১ তারিখে গঠিত ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী’ যে প্রেরণার উন্মেষ ঘটিয়েছিল তা মুক্তিযুদ্ধকে একটি জনযুদ্ধে পরিণত করে। যা পরবর্তীকালে একটি সফল পরিসমাপ্তি ঘটে এবং আমাদের মুক্তি ও বিজয় নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বাধিকার আন্দোলনের চ‚ড়ান্ত ও বীরত্বব্যঞ্জক কর্ণধারের নাম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। বলা যায়, দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর যৌথ সশস্ত্র সংগ্রামের অভিযাত্রা হল সমন্বিত এবং ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম। যা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী নামে অভিহিত। নির্মোহ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, একনিষ্ঠ সংগ্রাম এবং প্রাণাধিক স্বদেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দেশকে স্বাধীন করে। সেজন্য সকল সশস্ত্র সংগ্রামী সেনানিদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। যারা শহিদ হয়েছেন তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীক্ষিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্য ১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করেই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেননি বরং স্বাধীন দেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ছিন্নমূল মানুষের জন্য বাসস্থান নির্মাণ এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজে প্রতিনিয়ত নিবেদিতপ্রাণ। অতিমারি করোনা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনবদ্য অবদান ও দেশ গড়ার ক্ষেত্রে তাঁদের সাফল্য অনস্বীকার্য ছিল। দেশের যেকোনো প্রয়োজনে সবার আগে এগিয়ে আসতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বদ্ধপরিকর। এছাড়া স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিচ্ছে তার জন্য বিশ্বের দরবারে হচ্ছে প্রশংসিত।
জেসিপিএসসি’র উপাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হান্নান এর তত্ত¡াবধানে অনুষ্ঠানের আহŸায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলা বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মো. আব্দুন নূর। সদস্য হিসেবে ছিলেন দায়িত্ব পালন করেন প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি