পাঠানটুলায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু ॥ ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

3
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত ঘর ও আসবাবপত্র।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর পাঠানটুলা এলাকার গোয়াবাড়িতে এক ভাড়াটে বাসায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা নিহত ও ৭টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় এক শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে গোয়াবাড়ির মোহনা আবাসিক এলাকার গ্যাসের চুলা থেকে কাপড় শুকানোর সময় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই বৃদ্ধার নাম- শুভা রানী চন্দ (৮০)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার মজিদপুর গ্রামের মৃত সতিন্দ্র চন্দের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি গোয়াবাড়ি ব্লক-সি, -মোহনা- ২৪ নং বাসা মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জামাল পাশা এর মালিকানাধীন টিনসেডের পাকা ঘরের ভাড়াটে।
গতকাল বিকেলে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ীর পরিবারবর্গের প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
নিহত শোভারানী চন্দের ছেলে ও ছেলের বউয়ের সাথে তিনি আখালিয়ার ওই বাসায় থাকতেন। পক্ষাগাতগ্রস্ত অবস্থায় শোভারানী দীর্ঘদিন ধরে বিছনাবন্দি অবস্থায় ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে বাসার রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লেগে যায়। ওই বাসাটি সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মির্জা জামাল পাশার মালিকানাধীন। এখানে ৭টি পরিবার ভাড়া থাকতেন। আগুনে সবগুলো ঘরই পুড়ে যায়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, এখানে পাশপাশি ৭টি পরিবার রয়েছে। একটি বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে ভেজা কাপড় শুকানো হচ্ছিলো। হঠাৎ করেই একটি কাপড়ে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি কারো নজরে না পরায় আগুন আশপাশের ঘরেও ছড়িয়ে পরে। তিনি বলেন, আগুন দেখে বাড়িগুলোর লোকজন দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলেও শোভা রানী বের হতে পারেননি। তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিলেন। ফলে ঘরের ভেতরেই তিনি পুড়ে মারা যান।
গ্যাসের চুলায় কাপড় শুকানো থেকেই আগুনের উৎপত্তি জানিয়ে বাসার মালিক মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জামাল পাশা বলেন, আগুনে ৭টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে গেছে। আমার ঘরগুলোও পুড়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বিকেলে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তারা প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই একজন বৃদ্ধা আগুনে পুড়ে মারা যান এবং ৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নিহত বৃদ্ধার লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।