লকডাউনে সন্ধ্যার পর সড়কে নেই পুলিশ

9

স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাসে কঠোরতর লকডাউনের ৫ম দিনে যান ও মানুষজন চলাচলা বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার লকডাউনের এদিনে নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। মহানগরীর অনেক স্থানে দোকানের সাঁটার অর্ধেক (হাফ) খুলে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ অর্ধেকের তোয়াক্কা না করে পুরো শাটারই খোলা রাখছেন।
এছাড়া প্রতিদিন লকডাউনে সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর সড়কগুলোতে আইন শৃংঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা তেমন একটা চোখে পড়েনি।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গেল ২৩ জুলাই থেকে সিলেটসহ সারাদেশে ২ সপ্তাহের কঠোরতর লকডাউন আরোপ করে সরকার।
লকডাউনের প্রথম দু-তিনদিন সিলেটে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা ছিল হাতেগোণা। মানুষের আনাগোনাও ছিল একেবারেই কম। কিন্তু গত রবিবার থেকে ধীরে ধীরে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। চলাচল বেড়েছে মানুষেরও। খোলা হচ্ছে দোকানপাট। সেই ধারা অব্যাহত ছিল গতকাল মঙ্গলবারেও।
গতকাল সকাল থেকে দুপুর অবধি মহানগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, লামাবাজার, জেলরোড, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, মহাজনপট্টি প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে মানুষ। তাদের অনেকের মুখেই নেই মাস্কও। বিশেষ করে অলিগলিতে তরুণ-যুবকদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। অনেক গলিতে চায়ের টং দোকান খোলা রাখা হয়েছে। নগরীর সড়কে যানবাহনের চাপও প্রত্যক্ষ করা গেছে। ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারের সাথে সিএনজি অটোরিক্সার দাপট বাড়ছে সড়কে। একইসাথে রিক্সা চলছে অবাধে।
এদিকে, দক্ষিণ সুরমা এলাকা, বন্দরবাজার ও মহাজনপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকায় কাপড়চোপড়, ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানের সাঁটার অর্ধেক খোলা রেখে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে কাপড়ের অনেকগুলো দোকান খোলা রাখতে দেখা যায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, লকডাউন বাস্তবায়নে তারা মাঠে কাজ করছেন। যারা অযথা বাইরে বের হচ্ছেন, তাদেরকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরিমানা করা হচ্ছে। প্রতিদিন অপ্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে, যানবাহন আটক করা হচ্ছে। ৪র্থ দিনের লকডাউনে নগরীতে ৫১টি যানবাহনে মামলা ও ৩৫টি আটক এবং ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ২১ হাজার ৯শ’ টাকা জরিমানা করাও হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ খুবই তৎপর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য কোনো দোকানপাট খোলা যাবে না, এটা স্পষ্ট বলা হয়েছে বিধিনিষেধে। কেউ খোলা রাখলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নেব।’