সহকারী অধ্যাপক পদ পুনর্বহাল করে শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে কলেজ শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি পালন

21
সহকারী অধ্যাপক পদ পুনর্বহাল করে শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দিনব্যাপী কলেজ শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচী পালন।

উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ/আলিম মাদরাসায় সহকারী অধ্যাপক পদ পুনর্বহাল করে শতভাগ পদোন্নতি সহ পাঁচ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে কলেজ শিক্ষক পরিষদ, সিলেট। ২৭ ডিসেম্বর রবিবার, সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে দিনব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়।সংগঠনের সভাপতি জ্যোতিষ মজুমদারের সভাপতিত্ব ও সহ সভাপতি এম.এ. মতিন ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল আনাম চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত অবস্থান কর্মসূচিতে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ৯৭% অবদান রাখলেও আবহমান কাল থেকে তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারি কলেজের প্রভাষকরা সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেও এমপিওভূক্ত কলেজের প্রভাষকরা সারাজীবনে একটিমাত্র পদোন্নতি পান সহকারী অধ্যাপক পদে। কিন্তু অনুপাত(৫:২) নামক কালো আইনের ফলে ৭২% প্রভাষককে কোন পদোন্নতি ছাড়া আজীবন একই পদে থেকে অবসরে যেতে হয়। তার উপর গত ২৩ নভেম্বর মাদরাসা ও কারিগরির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধনীতে উচ্চ মাধ্যমিক/ আলিম পর্যায়ে ১৯৮০ থেকে বিদ্যমান সহকারী অধ্যাপক পদ বিলুপ্ত করে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক নামক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। কলেজের নীতিমালায় ও এ স্তরে সহকারী অধ্যাপক পদ থাকবেনা বলে নীতিমালা সংশোধন কমিটির সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। তাছাড়া এ ধরণের কোন পদ বাংলাদেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই এবং পূর্বের প্রত্যেক নীতিমালায় উচ্চ মাধ্যমিকে সহকারী অধ্যাপক পদ ছিল। শুধু তাই নয়, পূর্বে অভিজ্ঞ প্রভাষকরা অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ পেলেও২০১৮ এর নীতিমালায় এ সুযোগটা ও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
বক্তারা উচ্চ মাধ্যমিক/ডিগ্রি বিভাজন ছাড়া ৮ বছর পর সকল প্রভাষককে পদোন্নতির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত চূড়ান্তকরণের দাবি জানান।তারা এমপিওভুক্ত কলেজ/ মাদ্রাসায় সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ সৃষ্টি, পূর্বের ন্যায় প্রভাষকদের অধ্যক্ষ/ উপাধ্যক্ষ পদে আবেদনের সুযোগ প্রদান, উচ্চতর স্কেল/পদোন্নতির ক্ষেত্রে অর্জিত ইনক্রিমেন্ট যুক্তকরণ সহ মুজিব বর্ষে সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানান। বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের দাবি অগ্রাহ্য করে এমপিও নীতিমালা জারি হলে সারা দেশের শিক্ষকদের নিয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর কুমার দাস, সহ সভাপতি কামরুজ্জামান চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, শাহজাহান কবির আকন্দ, সহ সাধারণ সম্পাদক ছয়ফুল আমিন, শান্ত ভট্টাচার্য, সুব্রত রায়, শেখ মাসুক আহমদ, আলকাবুর রহমান, সুমন কুমার চন্দ, সজল আচার্য, মোঃ ফয়ছল মিয়া, বনানী পাল, ফাহিমা বেগম, তরিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, বাকবিশিস নেতা অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মোঃ জামাল হোসেন, বাকশিস নেতা অধ্যাপক আব্দুল জলিল, অধ্যাপক মাধব রায়, বাবেশিকফো নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, বাহার উদ্দিন আকন্দ, কমলকান্ত রায় চৌধুরী, কাওছার উদ্দিন, সকশিস এর কেন্দ্রীয় নেতা দীপু গোপ, জয়নুল ইসলাম, অসীম কুমার তালুকদার, পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষক সমাজের মোহাম্মদ আলী চৌধুরী তারিক , বাশিস নেতা দেলোয়ার হোসেন মাসুম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি