শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১, চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

2

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
শীতের তীব্রতা এখন বিরাজ করছে চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে। এর পাশাপাশি বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে মানুষের জীবনযাত্রা। বিশেষ করে চা-বাগান এলাকায় শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। চা-গাছগুলো ঘন কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়েছে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ১মিনিটে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকাল ৯টা ১মিনিটে সেই তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে সামাজিক সংগঠনগুলো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, শনিবার শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই চলতি শীত মৌসুমের শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে শ্রীমঙ্গলে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণেও শীত বেড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে শীত আরও বাড়বে বলে যোগ করেন তিনি। আবহাওয়া অফিসের নথি থেকে জানা যায়, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি। এটিই অদ্যাবধি রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরিসংখ্যান। তবে ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ঢাকা অফিস সূত্র জানায়, শনিবার সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।