সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে সিএনজি-অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু

45

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে সিএনজি অটোরিক্সা ও ইমা-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রবিবার সকাল ৬টার দিকে গুরুতর আহত মামুন রশিদ মামুন (১৮) নামের যুবককের মৃত্যু হয়েছে। সে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বেরাজপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক বিজিবি সদস্য কামরুল ইসলাম চান মিয়ার দ্বিতীয় পুত্র ও গোবিন্দগঞ্জস্থ লন্ডন রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার। শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের মির্জারগাঁও গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর দুর্ঘটনাকবলিত সিএনজি ও ইমা-লেগুনাকে আটক করে জনতা।
জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জস্থ লন্ডন রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ মামুন দায়িত্ব পালন শেষে রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে একটি সিএনজি অটো-রিক্সা যোগে অন্যান্য বন্ধুদের সাথে নিয়ে সিলেটের টুকেরবাজার এলাকায় যাচ্ছিলেন। লামাকাজি পয়েন্ট পৌঁছার আগে মির্জারগাঁও গ্রাম সংলগ্ন পৌঁছামাত্র বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতির ইমা-লেগুনা ( সিলেট-ছ, ১১-১০৯৪) সিএনজির অটো-রিকশা সিলেট-থ-১১-৩৪৪৬)’র মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজি অটো-রিকশার অজ্ঞাত নামা চালক, নিহত মামুনসহ প্রায় ৫ ব্যক্তি আহত হয়। স্থানীয়রা গাড়ি দু’টিকে আটক করে আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধিন অবস্থায় রোববার সকাল ৬টার দিকে মামুন মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে ওইদিন রাত ৯টায় জানাযা নামাজ শেষে পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। যানাজায় স্থানীয় গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, দিঘলী রাহমানিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা জহুর আলী, ছাতক প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সাংবাদিক মোশাহিদ আলী, আবুল ফজল নোমান, মাওলানা মেরাজ উদ্দিন, ইউপি সদস্য মাহমদ আলী, নিজাম উদ্দিন, হুসাইন আহমদ লনি, সুনামগঞ্জ জেলা তালামীযের অর্থ সম্পাদক আবদুল মতিন রাজন, শ্রমিক নেতা ময়বুল হক ইদ্রিছ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আমির আলী, ইমাম উদ্দিন ইমনসহ গ্রাম ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-ছাত্র ও গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এবং বাজারের ব্যবসায়িবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।