নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সাধারণ আইন শৃংখলা বাহিনী ॥ বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা মানছে না দেশের আইন-কানুন

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
উখিয়া টেকনাফের ৩২ ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি এখন সর্বাধিক আলোচনার বিষয়ে পরিণত হযেছে। সাধারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে কোনভাবেই রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে দিনের চেয়ে রাতের বেলায় পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকছে। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে, যা আগামী দিনগুলোতে এ অঞ্চলের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এমন আশঙ্কা নিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে যারা বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের কাছ থেকেই এ ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে সরকারী বা শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্রে এখনও এ ধরনের কোন ঘোষণা দেয়নি। তবে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ভিনদেশী এ নাগরিকদের সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা মোতায়েনের কোন বিকল্প নেই বলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হচ্ছে আশ্রিত রোহিঙ্গা দিনে দিনে বেপরোয়া অবস্থানে চলে যাচ্ছে। এদেশীয় আইন কানুনের প্রতি এদের মোটেই শ্রদ্ধাবোধ নেই। এছাড়া এদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু দালাল শ্রেণীর লোকের সঙ্গে জোট বেঁধে এরা আইন কানুনকে থোড়াই কেয়ার করছে না। যে কারণে মিয়ানমারে উৎপাদিত মরণনেশা মাদক ইয়াবা পাচার এ রোহিঙ্গাদের কারণে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না। অপরদিকে, উখিয়া টেকনাফের বিশাল শিবির এলাকা পুলিশ বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভবপর হচ্ছে না। এরা আশ্রিত। পূর্বে যারা এসেছে তাদের একটি অংশের শরণার্থীর মর্যাদা থাকলেও ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে রোহিঙ্গাদের যে ঢল এপারে এসেছে এরা সবাই রাখাইনের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত। সরকারী পর্যায়ে ১১ লাখেরও বেশি এমন রোহিঙ্গার পরিসংখ্যান রয়েছে। এসব বাস্তুচ্যুত নাগরিকরা এদেশের সরকারের দয়া ও সহযোগিতায় প্রাণে বেঁচে আছে। কিন্তু সরকারী আইন এরা মানে না। যা দিন দিন কেবলই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ : রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বুধবার বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ থাকবে। এ সময় টুজি সেবার মাধ্যমে শুধু ভয়েস কল সুবিধা পাওয়া যাবে। বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির হোসেন খান। তিনি বলেন, টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ থাকবে। তবে সেটা পুরো এলাকার জন্য প্রযোজ্য নয়। খবর ওয়েবসাইটের।