সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুপারি ভর্তি ট্রাক আটকে ক্ষতির সম্মুখীন কাজিরবাজারের ব্যবসায়ী

13
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন ব্যবসায়ী মো: সাহাব উদ্দিন।

স্টাফ রিপোর্টার :
বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুপারি আটক করায় বিপুল অঙ্কের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কাজিরবাজারের এক ব্যবসায়ী। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন নগরীর ভাতালিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং কাজিরবাজারের মেসার্স হারুন রশিদ এন্ড সন্স এর অন্যতম অংশিদার মো. সাহাব উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৯ আগস্ট কাজিরবাজার সুপারির আড়ৎ থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার সুপারি ক্রয় করে ট্রাকযোগে তিনি রংপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টিসি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা গাড়িটি আটক করেন। এ সময় সুপারি ক্রয়ের রসিদ, ট্রেড লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্স ও কৃষি বিভাগের সনদপত্র দেখালেও বিজিবি সদস্যরা সুপারিভর্তি ট্রাকটি না ছেড়ে তা ক্যাম্পে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সাথে থাকা কাগজপত্রগুলো না দেখেই ভুয়া বলে আখ্যায়িত করেন বিজিবি কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম। একপর্যায়ে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে তার কাছে টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে সুপারি ছাড়া হবে না বলে জানানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সুপারিগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললেও ছাড়া হয়নি। পরে সিলেটে এসে কাজিরবাজারের ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানালে তারা তাৎক্ষণিক জরুরি সভায় বসে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে আটক সুপারিগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিবৃতির মাধ্যমে আহবান জানানো হয়। পাশাপাশি সিলেট বিভাগ গণদাবি পরিষদ মহানগর শাখা একইভাবে সভা করে সুপারিগুলো ছেড়ে দেওয়ার আহবান জানায়।
বিপুল অঙ্কের সুপারিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সাহাব উদ্দিন ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী হারুনুর রশীদ, ইফতেখার হোসেন সুহেল, মো. হাফিজুর রহমান হারিছ, কয়েছ মিয়া, মাসুদ আহমদ, সুশান্ত চক্রবর্তী কমল, শিমু আলী, ওয়াহিদ আলী ও রুহেল আহমদ তাপাদার।