বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ॥ আমাদের হাতে থাকা শক্তি ব্যবহার করতে বাধ্য করবেন না

66
সুনামগঞ্জ-সিলেট রোডে বিআরটিসি বাস সার্ভিস উদ্বোধন করছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জে বাস মালিক শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের মধ্যে সুনামগঞ্জ-সিলেট রোডে বিআরটিসির বাস সার্ভিস উদ্বোধন কালে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমরা ব্যবসা করি না কিন্তু ব্যবসায় আমাদের নজর আছে। আপনারা গাড়ি চালান গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের হাতে শক্তি আছে, সে শক্তি ব্যবহার করতে বাধ্য করবেন না। এখন যদি বিআরটিসি বাস চলাচলে বাধা দেন পরে রেল চলাচলেও বাঁধা দেবেন। তাহলে কি সুনামগঞ্জে রেল আসবে না। মাথা থেকে এসব চিন্তা বাদ দেন। সরকারি কাজে বাধা দেবেন না। আমাদের দেখার দায়িত্ব ভালোভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা, মানুষকে হত্যা করেন কিনা, প্রশিক্ষণ বিহীন ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা। তিনি বলেন, পত্রিকায় এসেছে ৪০ ভাগ বাস, ট্রাকের লাইসেন্স নাই, কর দেয়া না, ট্যাক্স দেয়া ন। আমাদের দেশে ১কিলোমিটার রাস্তায় ব্যয় হয় ১৫ কোটি টাকা। অথচ এই সড়কে গাড়ি চালিয়ে ভাত খাব কিন্তু ট্যাক্স দিব না। এর চেয়ে বড় অরাজকতা, অন্যায় পৃথিবীতে আর হতে পারে না, বিশ্বাস করেন নাই। এই যে একটা উশৃঙ্খল মনোভাব স্বাধীন দেশের মানুষ করে না। মানুষ যত বড় হয় তার মাথা তত নিচে আসে, জাতি যত বড় হয় তত নমনীয় হতে হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বিআরটিসির মত প্রতিষ্ঠান লাভের আশা না করে দেশের সাধারণ মানুষকে উন্নত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারা যদি ১২০ টাকা ভাড়া নেয়, তাহলে আপনারা নেন ৮০ টাকা, তাহলে আপনাদের বাসে মানুষ উঠবে। আপনারা ভালো সেবা দিলে যাত্রীরা আপনাদের বাসেই উঠবে। সাধারণ মানুষকে যুক্তি ছাড়া ভোগান্তিতে ফেলবেন না। কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
মন্ত্রী সোমবার সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুরে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসি বাস সার্ভিস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো.আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে আরো এতে বক্তব্য রাখেন, সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ, ভারপাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, পৌর মেয়ন নাদের বখত।
সভায় সাংসদ পীর মিসবাহ বলেন, সুনামগঞ্জের মানুষের সুবিধার্থে বিআরটিসি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এখন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। কোন সমস্যা থাকলে আলোচনায় বসে সমাধান করা যায়, মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে নয়।