ওসমানী হাসপাতালে হামলা মামলার আরেক আসামীর জামিন মঞ্জুর

6

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের শ্লীলতাহানী ও মেডিকেল কলেজের ২ শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করার পর জামিন পেয়েছেন আরেক আসামি। সামি নামের ওই তরুণ হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৭ নম্বর আসামী ছিলেন।
তিনি গত ৮ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। আদালত তাকে ৪ সপ্তাহের জামিন দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ পিপিএম।
এর আগে আদালতে আত্মসমর্পন করার পর জামিন পান মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালিকের ভাতিজা মো. আবদুল্লাহ। গত সোমবার সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরও আগে গ্রেফতারকৃত ৩ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই দুপুরে এক রোগীর দুই স্বজনের সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদের বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই দুই স্বজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এর জের ধরে পরদিন সোমবার রাত ৮টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র রুদ্র নাথের উপর হামলা চালায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের সাথে যুক্ত হন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের শ্লীলতাহনির অভিযোগে ৮ জনকে আসামী করে ২ আগষ্ট দুপুরে কোতোয়ালী মডেল থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রথমে সাঈদ হাসান রাব্বি ও এহসান আহমদকে গ্রেফতার করে। এরপরও আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন। ৩ আগষ্ট দিবাগত রাতে মামলার প্রধান আসামী দিব্য সরকারকে গ্রেফতার করলে পরদিন ৪ আগস্ট সকালে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন স্থগিত করে কর্মস্থল ও ক্লাসে ফিরে যান।