সেচ পানির তীব্র সংকট তাহিরপুরের বোরো ফসলি হাওরগুলাতে

31

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
তীব্র সেচ সংকটে তাহিরপুরের সব ক’টি ইরি-বোরো ফসলি হাওর। পানির অভাবে ফসলি জমির মাটি শুকিয়ে চৌচির। বৃষ্টিপাত না হলে ফসল উৎপাদন কম হওয়ার আশংকা স্থানীয় হাওর পারের কৃষকদের।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, দেশী জাতের ধান চাষাবাদে সেচ পানির তেমন কোন প্রয়োজন নেই কিন্তু হাইব্রিড জাতীয় ধান ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাষাবাদে প্রচুর সেচ পানির প্রয়োজন পড়ে।
হাওর ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ হাওরে গুলোতে সেচ পানি দেয়ার কোনরূপ সুবিধা নেই। বিভিন্ন হাওরে নদী তীরবর্তী স্থানে সামন্য জমি রয়েছে। সে জমিগুলোতে যত সামান্য পানি দেয়া যায়। হাওর সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ নদী নালা, খাল, বিল জলাশয় সেচ মৌসুমের আগেই শুকিয়ে যায়। ফলে বৃষ্টির পানির অপেক্ষাই বসে থাকতে হয় কৃষকদের। বর্তমানে হাওরে হাওরে কৃষকের রোপণকৃত জমির ধান পানির অভাবে ধান গাছের পাতা হলদে রং ধারণ করছে।
উপজেলার বৃহৎ বোরো ফসলি হাওর শনি মাটিয়ান, মহালিয়া, আঙ্গারুলি সহ কোন একটি হাওরে সেচ পাম্প নেই। না থাকার কারণ হিসেবে কৃষকরা জানান, মাটির নীচে পানির স্তর গভীরে হওয়ায় সেচ পাম্প বসাতে অনেক টাকা খরচ পড়ে। যে কারণে তারা সেচ পাম্প বসাতে পারছেন না।
উজান তাহিরপুর গ্রামের কৃষক নুরুল হক বলেন, জমিতে সেচ দেয়ার কোন ব্যবস্থা নেই, শুধু বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা।
তাহিরপুর উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন চন্দ্র সরকার (সদর ইউনিয়নে দায়িত্বরত) বলেন ইরি জমিতে প্রচুর পরিমাণ পানির প্রয়োজন কিন্তু পানির কোন ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক জমিতে পানি দিতে পারছেন না।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস ছালাম বলেন, হাওরে অনেক স্থান রয়েছে যেখানে কোন ভাবেই সেচ দেয়া সম্ভব না।
উল্লেখ্য চলতি বছর উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ২৩ টি হাওরে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।