ডাকাতির দায়ে দুই জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

26

স্টাফ রিপোর্টার :
গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে ডাকাতি মামলার দশ বছর পর এক জনের ৭ বছর ও অপর জনের ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদেরকে অর্থদন্ডও করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট বিশেষ দায়রা জজ (জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মোঃ মফিজুর রহমান ভূঞা এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে- গোয়াইনঘাট থানার জাফলং গুচ্ছগ্রাম এলাকার মোহাম্মদপুর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র সালামত মিয়া এবং একই এলাকার সুরুজ আলীর পুত্র আমির হোসেন। রায় ঘোষনার সময় আদালতের কাঠগড়ায় আমির উপস্থিত থাকলেও সালামত পলাতক ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২০ মার্চ রাত পৌনে ১২ টার দিকে জাফলং গুচ্ছগ্রামে অবস্থিত মারজানা স্টোন ক্রাশার মিলের ম্যানেজার সমর দেব তার সহকারী ম্যানেজার বাবুল সরকার ও ড্রাইভার নূরুল ইসলাম অফিসে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২ টার দিকে ১০/১২ জনের একটি দল আগ্নোয়াস্ত্রসহ সশ্রস্ত্র অবস্থায় ডাকাতরা পাথরের ক্রেতা সেজে তাদেরকে ডাকাডাকি করতে থাকে। তাদের ডাকাডাকির এক পর্যায়ে গাড়ী চালক নূরুল ইসলাম অফিসের দরজা খোলার সাথে সাথে মুখোশধারী ডাকাত দল ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অফিসের আলমিরা খোলে নগদ টাকা ও মোবাইলফোনসহ ২ লাখ ৬০ হাজার ৩শ’ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তখন ম্যানেজার সমর দেব কয়েকজন ডাকাতকে চিনে ফেলেন। এ ঘটনায় সমর দেব বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৮ (২০-০৩-২০০৫)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোয়াইনঘাট থানার এসআই আবু ইউছুফ ২০০৫ সালের ১৭ জুলাই ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং ২০০৭ সালের জুন থেকে আদালত এ মামলার বিচারকায্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামী সালামত মিয়াকে দি পেনাল কোড এর ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৭ বছরের কারাদন্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং অপর আসামী আমির হোসেনকে ৩৯৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৬ বছরের কারাদন্ড ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি এডভোকেট নওসাদ আহমদ চৌধুরী ও আসামীপক্ষে এডভোকেট আয়শা বেগম, এডভোকেট মো. নূরুল হক ও এডভোকেট মো. মুজাম্মিল হক মামলাটি পরিচালনা করেন।