স্কুল ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলার রায় চলতি মাসেই

33

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর আলোচিত স্কুল ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৪র্থ দিনে আদালতে ২ ম্যাজিস্ট্রেট ও এক সিআইডি পুলিশসহ ৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রশিদের আদালতে তারা এ সাক্ষ্য দেন। আজ বুধবার ফের সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হচ্ছেন, সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী-১) মোঃ সাহেদুল করিম, ম্যাজিস্টেট মোচ্ছা: ফারহানা ইয়াসমিন, সিলেট সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শামিমুর রশিদ পীর ও আসামী এবাদুর রহমান পুতুলের সঠিক নাম-ঠিকানা যাচাইকারী এএসআই রতন লাল দেব। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পিপি এডভোকেট মোঃ আব্দুল মালেক জানান, এ নিয়ে এই আলোচিত মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হলো। আজ বুধবার মামলার আইও কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসাইনসহ ১৫ সাক্ষীর মধ্যে দিয়ে আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবে। তিনি জানান, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে চলতি মাসেই রায় ঘোষণার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ২৩ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন, মোঃ সেলিম আহমদ, মোঃ আজির উদ্দিন, আবুল হোসেন, আব্দুস কুদ্দুস, মোক্তাদির আহমদ, দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুল আহাদ তারেক। ২২ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন, সাঈদের মা সালেহা বেগম, সাঈদের আরেক মামা জয়নাল আবেদীন, তার শ্যালক সৈয়দ হিলাল, এয়ারপোর্ট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) গৌছুল হোসেন, এসআই সমরাজ মিয়া ও কনষ্টেবল কাশেম। ১৯ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন, সাঈদের পিতা মতিন মিয়া, মামা আশরাফুজ্জামান, প্রতিবেশী ফিরোজ আহমদ, ওলিউর রহমান ও শফিকুল ইসলাম।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত টানা এ সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। তখন আসামী এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ কনস্টেবল (বরখাস্ত) এবাদুর রহমান পুতুল, র‌্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুমের উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুর রশিদ তাদের এ সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করেন।