দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ॥ দক্ষ প্রশিক্ষক হয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে

37

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, আমরা অনেক দুর্যোগের মধ্যে বসবাস করছি। দুর্যোগ vard picকখন আসবে তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেনা। এজন্য আমাদেরকে প্রতি মুহূর্তে প্রস্তুত থাকতে হবে। সিলেট একটি পবিত্র শহর। এই পবিত্র শহরে কখন এসে ভূমিকম্প ছোবল মারবে তা কেউ জানেনা। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। দক্ষ প্রশিক্ষক হয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
জেলা প্রশাসন সিলেট ও সিলেট সিটি কপোরেশন-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে একীভূত দুর্যোগ সহনশীলতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক ৮ম ডিপিকো কর্মপরিকল্পনার আওতায় জনগোষ্টি ভিত্তিক ৩দিনব্যাপী দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী দিনে তিনি একথা বলেন।
গতকাল সোমবার নগরীর আম্বরখানাস্থ একটি হোটেলে ভার্ড, ইসলামিক রিলিফ ও অক্সফামের সহযোগীতায় এ ৩দিনব্যাপী দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। ভার্ডের কো-অর্ডিনেটর মোঃ ফজলুল  হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ ওসমান গনি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সচিব সাবেরা আক্তার, সিলেট জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম নূরুল ইসলাম, ইসলামিক রিলিফ-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শাহিদ আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ওসমান গনি বলেন, ৩দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদেরকে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আমরা সকলে জানি সিলেট একটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে সিলেটে ভূমিকম্পের ঝুঁকি খুব বেশি। আমরা যদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেরা সচেতন ও অন্যদেরকে সচেতন করতে পারি তবে দুর্যোগের ক্ষতি অনেকটা কমে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেরা আক্তার বলেন, জনগণকে দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতন করাই এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য। জনগণ যখন সচেতন হবে তখন দুর্যোগ প্রশমনে অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদেরকে অনেক বেশি প্রশ্ন করতে হবে। প্রশ্ন করলেই অনেক কিছু জানা যাবে। অনেক কিছু জানলেই দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি ও পরে কী করণীয় তা সম্পর্কে অভিজ্ঞ হওয়া যাবে।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ৬০ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরীর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই  মধ্যে ৩০ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরী হয়ে গেছে। একটি দুর্যোগ মোকাবেলায় ভলান্টিয়ারদের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা দুর্যোগের ফলে দেশ অনেক খানি পিছিয়ে যায়। বিজ্ঞপ্তি