নবীগঞ্জে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

36

WP_20150426_004(1)তোফাজ্জল হোসেন, নবীগঞ্জ থেকে  :
নবীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াওর মিয়ার মালিকাধীন মা হোটেলে আসামী ধরার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষে ওসি শ্রমিক নেতাসহ ২০ জন আহত হয়েছে।  এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে শ্রমিক নেতা ইয়াওর মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে থানা ঘেরাও করলে পুলিশ ইয়াওর মিয়াকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ঘটনায় উত্তেজিত শ্রমিকরা গতকাল রবিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত টানা চার ঘন্টা গাড়ি দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে জন দুভোর্গ চরম আকার ধারণ করে। খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাসহ শ্রমিক নেতারা নবীগঞ্জ জে কে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে তাৎক্ষণিক এক শালিস বৈঠকে বসে আগামী ৩ মে ঘটনার বিচারের তারিখ ঘোষণা করলে শ্রমিক নেতারা অবরোধ তুলে নেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিএনজি অটো রিক্সার দু গ্র“পের শ্রমিকদের একটি ঘটনায় পুলিশ গতকাল রবিবার বিকেলে মা হোটেলের সামনে যায়। এ সময় পুলিশ দেখে কিছু শ্রমিক মা হোটেলে প্রবেশ করে।  এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের এস আই আবুল কালাম আজাদের সাথে  বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে নবীগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ওসির সাথেও শ্রমিক নেতা ইয়াওর মিয়ার বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে  পুলিশ এবং শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ ভয়াবহ রুপ ধারণ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট শ্রমিকদের উপর নিক্ষেপ করে। এতে শ্রমিক নেতা সাজন মিয়া (২৫), রাজু মিয়া (১৬) ও খছরু মিয়া (৩৫)কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ সময় নেতা ইয়াওর মিয়া, ওসি লিয়াকত আলী, এস আই আবুল কালামসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। শ্রমিক নেতা ইয়াওর মিয়ার গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে  সাধারন শ্রমিকরা লাঠি সোটা, ইট পাটকেল নিয়ে মিছিলসহকারে থানা ঘেরাও করে শ্রমিক নেতাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। এ সময় শ্রমিক নেতাগণ শহরের বিভিন্ন মোড়ে ওসির গালে জুতা মারাসহ অপসারণ দাবি করে মিছিল করে। এবং নবীগঞ্জ নতুন বাজারে অবস্থান করে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য এ মুনিম চৌধুরী বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মাসুম বিল্লাহ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিঠু, শ্রমিক নেতা ইয়াওর মিয়া, বাস মালিক সমিতির সভাপতি বজলুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুল আলম সুমনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাৎক্ষণিক নবীগঞ্জ জে কে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক শালিস বৈঠকে  বসে  আগামী ৩ মে ঘটনার বিচারের তারিখ ঘোষণা করলে শ্রমিক নেতারা অবরোধ তুলে নেন।