হবিগঞ্জসহ ৫ জেলায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যালিপ প্রকল্প হাতে নিয়েছে এলজিইডি

22

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জলবায়ু পরিবর্তনের বৈরী প্রভাবে উপযোগী পরিবেশবান্ধব জীবন ও জীবিকা গড়ে তোলার মাধ্যমে হাওর অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যতা হ্রাসকরণের উদ্দেশ্যে ক্যালিপ (ক্লাইমেট এডাবটেশন এন্ড লাইভহুড প্রটেকশন) প্রকল্প হাতে নিয়েছে এলজিইডি। হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার ২৮টি উপজেলায় এই প্রকল্পে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। জেলার লাখাই, আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলাসহ হাওর অঞ্চলের আরো ৪ জেলায় ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত চলবে এ প্রকল্প।
জেলা এলজিইডি অফিস জানায়, হবিগঞ্জের প্রায় চার লাখ দরিদ্র, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের হাওর এলাকার বসতবাড়ির ভাঙ্গন রোধ, দ্রুত ফসল আহরণ, উৎপাদন বৃদ্ধি, আর্দশগ্রাম নির্মাণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে স্বাবলম্বী করার জন্য প্রকল্পটি কাজ করবে। পরিবেশ সহযোগী বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পাদন এবং সঠিক সময়ে প্রযুক্তিগত দিক নির্দেশনার প্রেক্ষাপট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এর আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি মূলতঃ কমিউনিটি ভিত্তিক দলীয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
সুবিধাভোগীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করে গ্রামীণ জনগণকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এবং স্থানীয় সম্পদের সর্বাত্মক ও সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রশিক্ষিত সদস্যরা প্রচলিত বা বিকল্প কর্মসংস্থান পরিচালনার সুবিধা গ্রহণ করবেন। প্রকল্পের এ সকল কার্যক্রম কমিউনিটি অবকাঠামো উন্নয়ন, জীবনমান সংরক্ষণ, জলবায়ু সহিষ্ণু সক্ষমতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এই চার ভাগে সম্পন্ন করা হবে।
প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ মেট্রলোজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ওয়াটার এন্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট, ফ্লাড ফরকাস্টিং এন্ড ওয়ারমিং সেন্টার, বুয়েট সঠিক দিক নির্দেশনামূলক প্রযুক্তিগত কাজ সম্পাদন করবে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, এলজিইডি’র চলমান অসংখ্য প্রকল্পের মধ্যে ক্যালিপ প্রকল্পটি মূলত চ্যালেঞ্জিং এবং ব্যতিক্রমধর্মী। সহযোগী সংস্থার সঠিক দিক নির্দেশনা, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রকল্পের দক্ষ জনবলের কর্মসংস্থান, সঠিক সময়ে প্রযুক্তিগত তথ্য উপাত্ত সম্প্রসারণের মাধ্যমে জলবায়ু উপযোগী ও পরিবেশবান্ধব এই প্রকল্পটি হাওর অঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান পরিবর্তনে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখবে।