দিরাই-শাল্লায় দেখা দিয়েছে প্রচন্ড পানি সংকট ॥ নদীতে থেকে বিলে পানি মজুদ করছেন কৃষকরা

47

0সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
এবার মৌসুমকে সামনে রেখে হাওরাঞ্চল হিসেবে খ্যাত সুনামগঞ্জের কৃষি নির্ভর এলাকা দিরাই-শাল্লায় দেখা দিয়েছে প্রচন্ড পানি সংকট। মৌসুম শুরুর আহেই নর্দ ও বিল থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি কমতে শুরু করেছে। বিভিন্ন হাওরে এলাকাবাসী নিজেরদের অর্থায়নে নদী থেকে বিলে পানি মজুুদ করে রাখছেন। এমন একটি চিত্র দেখা গেছে দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের একটি হাওরে। হাতারাই নামক একটি বিলের পানি নির্ভর শতশত একর জমি অনাবাদি থাকার আশংকা করছেন হাতারাই বিল পারের কৃষকরা। কৃষি প্রধান এই এলাকার কৃষকদের সারা বছরের জীবন ধারণ নির্ভর করে বোরো ফসলের উপর। একফসলী এলাকা হওয়ায় এখানকার মানুষ ছয় মাস কাজ করেন আর বাকী ছয় মাস অপেক্ষা করেন বোর মৌসুমের। ফসল কাটার পর হাতে কোন কাজ না থাকায় ধান বিক্রি করে জীবন ধারণ করেন বছরের বাকি সময়টুকু। এ সময় যদি জমিতে ফসল ফলাতে না পারেন তাহলে হয়তো এ এলাকার অনেক কৃষক পরিবারকে অনাহারে-অর্ধাহারে কাটাতে হতে পারে একটি বছর। এছাড়াও গ্রামের মহাজনদের করা সুদে জরিয়ে পরতে পারেন গ্রামের সহজ-সরল কৃষকরা। এর হাত থেকে রক্ষা পেতে হাতারাই বিল পারের গোবিন্দপুর, হলিমপুর, ধীতপুরের কৃষকরা তাদের নিজেদের টাকা খরচ করে ১৫টি পানির পাম্প বসিয়ে নদী থেকে বিলে পানি মজুদ করছেন। গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক রুবেল সরদার ও শমীর তালুকদার বলেন, বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়াতে জমিতে হাল-চাষ করা যাচ্ছে না, পানি না থাকলে কষ্ট করে হাল দিয়েও লাভ নেই, পানি না থাকলে চারা লাগানো যাবে না, চারা লাগানোর পর পানি না থাকলে সেই চারা মারা যাবে, এতে করে আমাদের ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তাই আমার সবাই মিলে কষ্টের ও খরচের পরিমাণ বেশি করেও জমিতে ফসল ফলাতে বাধ্য, কারণ আমাদের এলাকা এক ফসলী। বোরো ধান চাষ না করলে বছরের খাবার যোগানো যাবে না। পরিবারের বছরের খাবার সংগ্রহ করতে এবার আমাদের দ্বিগুণ পরিশ্রম ও খরচ করতে হচ্ছে। আমরা কয়েক গ্রামের কৃষক মিলে জমির পরিমাণ অনুযায়ী টাকা চাঁদাতুলে নদী থেকে বিলে পানি সংগ্রহ করছি।