তাহিরপুরে কয়লা শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা

4

বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর

তাহিরপুরে কয়লা উত্তোলনের জের ধরে এক কয়লা শ্রমিককে লাটি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত শ্রমিকের নাম জজ মিয়া (৪০)। তিনি উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঁশতলার মূল হোতা শফিকুল ইসলাম (৩৮), একই গ্রামের ফখর উদ্দিন (৩৫) এবং আব্দুল মজিদ (৫০)।
জানা যায়, গত শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে প্রতিদিনের ন্যায় লালঘাট ও বাঁশতলা গ্রামের কয়েকজন কয়লা শ্রমিক লালঘাট সীমান্ত দিয়ে ওপাওে ভারত যায় চোরাইপথে কয়লা আনার জন্য। ভারতে গিয়ে কয়লা উত্তোলনের জায়গা নিয়ে নিহত জজ মিয়ার আত্মীয় বাচ্চু মিয়া এবং পাশ্ববর্তী বাঁশতলা গ্রামের বাবুল মড়ল গংদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় সঙ্গে থাকা অন্য কয়লা শ্রমিকরা ঘটনাটি একে-অপরের সঙ্গে তাৎক্ষণিক মিমাংসা করে দেন। একদিন পর রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯ টার দিকে নিহত জজ মিয়া সহ কয়েকজন ওপার থেকে কয়লা নিয়ে বাঁশতলা গ্রামের পিছনে বালুচড় দিয়ে যাওয়ার পথে আগ থেকে উৎপেতে থাকা বাবুল মড়ল গংরা তাদের উপর লাটি সোটা নিয়ে অর্তকিত হামলা করে। এসময় নিহত জজ মিয়ার সঙ্গে থাকা কয়লা শ্রমিকরা দৌড়ে পালিয়ে আসতে পারলেও জজ মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাকে লাটি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। তার অবস্থা অবনতি দেখে জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে জজ মিয়ার মৃত্যু হয়।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।