স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

6

বই মানুষের পরম বন্ধু। বই পড়া ব্যতীত সমাজ, সংস্কৃতি ও দেশকে জানা যায় না। মেধা ও মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর শিক্ষার্থীদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। সিলেটে ২৮ এপ্রিল রবিবার জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের বাস্তবায়নে সিলেট বিভাগীয় বই মেলা ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান একথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবীর, সংস্কৃত বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শারমিন জাহান, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, জেলা প্রশাসক সিলেট শেখ রাসেল হাসান, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক মেছবাহউদ্দীন আহমেদ। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও পরিচালক, স্থানীয় সরকার) দেবজিৎ সিংহ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর ভবিষ্যৎ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর। তাই শিক্ষার্থীদের বই পড়ার মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অবদান রাখতে পারে। এছাড়াও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করে যোগ্য ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এতে তারা পরিবার ও সমাজের বোঝা হবার পরিবর্তে দেশের জন্য অবদান রাখার সুযোগ পাবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা শিশুদের বই পড়ায় উৎসাহিত করুন। নিজেরা বই পড়ুন এবং শিশুদের জন্য বই কিনুন। তিনি আরো বলেন, এখন শিশুদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা হারিয়ে গেছে। তারা সারা দিন স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই তাঁদের মধ্যে বইকে ভালোবাসা ও বই পড়ার প্রবণতা ফিরিয়ে আনতে ডিজিটাল মাধ্যম স্মার্টফোন, আমাজন কিন্ডল থেকে হলেও বই পড়ার ব্যবস্থা করতে অভিভাবকদের অনুরোধ করেন তিনি। বিজ্ঞপ্তি