দোয়ারাবাজারে পোল্ট্রি ফার্মের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

6

শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার

পোল্ট্রি ফার্মের মুরগীর বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা সুরমা, লক্ষীপুর-বগুলাসহ তিন ইউনিয়ন’র হাজার মানুষ। বিষ্ঠার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকা জুড়ে। তাই ভারছে মশা মাছির উৎপাত।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুরমা, লক্ষীপুর-বগুলা তিন ইউনিয়নের মানুষের উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়কের পূর্বপাশে কলিম উদ্দীন নামক ব্যক্তি পুকুরের উপরে করেছেন ব্রয়লার মুরগীর ফার্ম। আর এ ফার্মের বিষাক্ত বিষ্ঠার দুর্গন্ধের কারণে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। প্রতিদিনই ভারছে পাতলা পায়খানা, বমি-মাথা ব্যথাসহ মশা-মাছির উপদ্রব। দুর্গন্ধে পথচারী স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফার্মের মুরগীর বিষ্ঠার গন্ধের জন্য এলাকায় টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে। জীবাণু ও দূষিত বাতাসে অনেক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে প্রতিদিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গিরিশনগর গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, বিষ্ঠার দুর্গন্ধে এলাকার বাতাস দূষিত হয়ে পড়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। খেতে বসলে দুর্গন্ধে খাবার গলা দিয়ে নামে না। মশা, মাছি বিস্তার ঘটাচ্ছে জীবাণুর। জীবাণু ও দূষিত বাতাসে অনেক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এই রাস্তায় চলতে হলে বিষ্ঠার দুর্গন্ধের কারণে মূখ ডেকে রাস্তা চলাচল করতে হচ্ছে ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেক নারী-শিশুসহ বয়স্করা।
পোল্ট্রি ফার্মের মালিক কলিম উদ্দীন’র কাছে জানতে চাইলে তিনি কাজিরবাজার-কে বলেন, অযথা কলদিয়ে বিরক্ত করবেন না। প্রায় ২০ বছর ধরে ফার্ম ব্যবসা করতেছি, কোন দিন এ ধরণের অভিযোগ আসেনী। কেউ অভিযোগ দিলে কোন সমস্যা নাই।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহার নিগার তনু কাজিরবাজার-কে বলেন, রাস্তার পাশে খোলা অবস্থায় যেখানে-সেখানে মুরগির ফার্ম করা যাবে না। এটা নিয়মের ভেতরে নাই। এ ব্যাপরে কেউ কখনো অভিযোগ করেনী। অভিযোগ পেলে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে।