এবারের নির্বাচন একটা যুগান্তকারী ঘটনা : শেখ হাসিনা

15

কাজির বাজার ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবারের নির্বাচন একটা যুগান্তকারী ঘটনা। নির্বাচন নিয়ে এত আগ্রহ আগে কখনো দেখিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। সব সময় চেষ্টা ছিল নির্বাচন সুষ্ঠু করার। এই বিজয় জনগণের বিজয়। নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে, তা প্রমাণিত।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইন প্রণয়ন থেকে শুরু করে সবকিছুই করেছে আওয়ামী লীগ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন, আমাদের সে কাজটা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ মানুষে যে মৌলিক চাহিদা, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা, কাপড়ের ব্যবস্থা, সেই সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে জীবনটা উন্নত করতে হবে। এই চিন্তা থেকেই সব সময় কাজ করছি। আওয়াম লীগের সভাপতি বলেন, আটবার নির্বাচন করেছি। এবার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ যেন উন্নত জীবনের অধিকারী হতে পারে। আমরা সরকারে এসে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি। তিনি বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছোট বোন শেখ রেহানা আর আমি বেঁচে যাই। ৬ বছর আমরা রিফিউজি ছিলাম। খুব কষ্টকর জীবন ছিল।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ১৯৭১ সালে যারা নারী ধর্ষণ করেছিল, লুটপাট করেছিল, অগ্নিসংযোগ করেছিল, স্বাধীনতার পরপর তাদের বিচার শুরু হয়েছিল। কিন্তু মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় এসে বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসায়। যখন আমার মা-বাবার খুনিরা এবং যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায়, ওই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি। আমার আসার একটাই লক্ষ্য ছিল- বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা, গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আর্থসমাজিক উন্নতি করা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমার চলার পথটা এত সহজ ছিল না, অনেকবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। আমি মুখোমুখি মৃত্যুকে দেখি, কখনো গুলি, কখনো বোমা হামলা, কখনো গাড়িতে হামলা। আমি যখন শান্তি র‌্যালি করছিলাম তখন গ্রেনেড হামলা করা হয়। আমার দলের নেতাকর্মীরা আমাকে রক্ষা করে মানবঢাল রচনা করে। অনেকে জীবন দেয়। জনগণের কথা বলতে গিয়ে অনেকবার গ্রেপ্তার হয়েছি, বন্দি হয়েছি। তারপরও আমি দমে যাইনি।
তিনি আরও বলেন, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। এবারের নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়ন করার পাশাপাশি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। মানুষের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। এ বিজয় জনগণের বিজয়।
সরকারপ্রধান বলেন, একটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। মিলিটারি ডিক্টেটর থেকে যে দল সৃষ্টি তারা নির্বাচন ভয় পায়, কারণ তাদের জনসমর্থন থাকে না।