বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না ইসি, প্রস্তুতি ভোটের

60

জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মধ্য নভেম্বরে তফসিল ঘোষণার দিন ধরে ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। যদিও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা এখনও বহুদূর। সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো দাবি না মানলে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যেকোনো মূল্যে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে। দলটি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘আল্লাহ ছাড়া কেউ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।’ তবে এমন বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না ইসি। দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হলে নির্বাচনকালীন সময়ে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, এটি জেনেও বসে নেই কমিশন সংশ্লিষ্টরা। নভেম্বরের আগেই ভোটের সব কাজ গুছিয়ে রাখতে চান তারা। এরইমধ্যে সংসদ নির্বাচন নিয়ে করা কর্মপরিকল্পনার সিংহভাহ কাজই শেষ। বাকি কাজগুলোও দ্রæত শেষ হবে। কমিশন আশা করছে, নির্বাচনের আগে সমঝোতা হবে এবং বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভোট করতে গেলে যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করেছি। অনেক এগিয়েছেও। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরির। এখন কেন্দ্রভিত্তিক প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোকবলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমিত হয়ে আসবে। বিএনপিও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আস্থায় নেবে এবং নির্বাচনে আসবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের করণীয় কিছু নেই। সবসময় বলি, বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর।
শিগগিরই প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক শিগগিরই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করছে নির্বাচন কমিশন। এবার ৪২ হাজার ৪০০টির মতো ভোটকেন্দ্র হতে পারে। আর ভোটকক্ষ হতে পারে দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০টি। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর চ‚ড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রকাশ করবে ইসি। এরপরই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের দিকে মনোযোগ দেবে সংস্থাটি। আর তা সামনে রেখেই আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধেই শুরু হতে পারে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এরপর ভোটের ১৫ দিন আগে হতে পারে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ।
এ বিষয়ে ইটিআই মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞে ইসি সচিবালয়ের সব কর্মকর্তাই সম্পৃক্ত হয়ে পড়বেন। এক্ষেত্রে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন, বিধি ও কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে সবাই সমানভাবে অবগত নন। তাই নির্বাচনের মূল কাজ শুরু হলে কাজের গতি যেন বাড়ে, সেই জন্যই প্রথমে এই কোর ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে মূলত অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন অন্যদের সঙ্গে।
তিনি বলেন, এবার সংসদ নির্বাচনে ৯ লাখের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন পড়বে। প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পর তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
উপকরণ যাচাইয়ে কমিটি: সংসদ নির্বাচনের উপকরণ যাচাই করতে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিটি সরবরাহকারীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে উপকরণ গ্রহণ করবে।
ইসির সংস্থাপন শাখার উপ-সচিব মো. হেলাল উদ্দিন খান জানিয়েছেন, মেনটেইন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল জাভীদকে ওই কমিটির আহŸায়ক করা হয়েছে। আর ইসির সেবা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শামসুল হক ফৌজদারকে করা হয়েছে সদস্য সচিব। এরইমধ্যে কমিটির কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে- ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান কর্তৃক অনুমোদিত পণ্যের নমুনা ও স্পেসিফিকেশনের সাথে সরবরাহকারী কর্তৃক সরবরাহকৃত পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষাকরণ; সরবরাহকৃত পণ্যের সংখ্যা/পরিমাণ চুক্তি মোতাবেক যাচাইকরণ; আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দ্রব্যাদি যাচাইয়ের সময় অথবা নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে দ্রব্যাদি যাচাইয়ের দায়িত্ব পালন; সরবরাহকারী কর্তৃক সরবরাহকৃত পণ্যের গুণগত মান, পণ্যের সংখ্যা ও পরিমাণ সংবলিত পণ্য বা সেবা গ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সুপারিশ আকারে প্রস্তুত করবে; তবে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার প্রতিনিধি যেদিন যাচাইয়ে অংশগ্রহণ করবেন সেদিনের প্রত্যয়নসহ প্রতিবেদন সংযুক্ত করণ এবং উক্ত প্রতিবেদন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট শাখা/অধিশাখার নিকট প্রেরণ করা।
বিদেশি পর্যবেক্ষক সহায়ক নীতিমালা: এদিকে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশি পর্যবেক্ষক সহায়ক নীতিমালা করার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে কমিশন। এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে ইসি। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, নীতিমালা যাতে ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের যাতে সুবিধা হয়, সেই ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে আরও বসব। তারপর খসড়া দেব, তারপর কমিশন অনুমোদন দিলে চ‚ড়ান্ত করব।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খসড়া চ‚ড়ান্ত করা হবে আশা করি। এটি চ‚ড়ান্ত হওয়ার পর কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি যাবে। তারা আবেদন করবে। আবেদন অনুযায়ী যে পদ্ধতি থাকবে, সে অনুযায়ী অনুমোদন পেয়ে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে আসতে পারবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ: নির্বাচনী অপপ্রচার রোধে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। এরইমধ্যে ফেসবুক ও টিকটক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। টিকটকের সাথে বৈঠকে ইসির আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকারের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি ফেরদৌস মোত্তাকিন উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনকে ঘিরে নানা প্রকার অপপ্রচার বিশেষ করে বিদ্বেষ ছড়ানো, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি রোধে কাজ করবে টিকটক। এক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার পরই কাজ করতে পারে। এরআগে গত ৩ আগস্ট ফেসবুকের প্রতিনিধির সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সেদিন বলেন, যেসব অপপ্রচার হয়, সেই অপপ্রচারগুলো কিভাবে রোধ করা যায়। বিশেষ করে ঘৃণাত্মক মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা অন্যান্য যেসব ভায়োলেশন হয়, সেগুলো তারা ডিলিট করবে, রিমুভ করে দিবে, বøক করবে।
থাকছে ৯ লাখের বেশি ভোট কর্মকর্তা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯ লাখের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদসহ অন্যান্য নির্বাচনের প্রশিক্ষণ সূচি অনুমোদন হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুতের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। প্রশিক্ষণ আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে। তফসিলের পর মোটা দাগে হবে ৯ লাখের ওপর। আগের চেয়ে বাড়বে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যা।
নতুন দল নিবন্ধন: নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে ইসি। নানা মহলের আপত্তি বিরোধ নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে এবার চ‚ড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি। প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার জন্য আবেদন জমা দিতে বলে ইসি।
এবারও তেমন আহŸান জানালে ১৯৬টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে ১২টি দল শর্ত পূরণ করে। তাদের দেয়ার তথ্য অধিকতর যাচাই-বাছাই করলে তদন্তে টেকে গণঅধিকার পরিষদ, বিএনএম, বিএসপি ও এবি পার্টি। পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে তদন্তের পর সেখান থেকে বাদ পড়ে গণঅধিকার পরিষদ ও এবি পার্টি। এদিকে বিএনএম ও বিএসপির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ পড়ে নিবন্ধন না দেয়ার জন্য। সেই আবেদনগুলো সম্প্রতি শুনানিতে না টিকলে নিবন্ধন পেয়ে যায় দল দুটি।
চালু হচ্ছে নির্বাচনী অ্যাপ: নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নভেম্বরের প্রথমার্ধে চালু হতে যাচ্ছে নির্বাচনী অ্যাপ। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা, ভোটার হার, ভোটকেন্দ্র ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, অ্যাপ চালু হলেও শুধুমাত্র এটির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া বাধ্যতামূলক থাকছে না। আইন অনুযায়ী অফলাইন, অনলাইন দুভাবেই মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে।
তিনি বলেন, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দেয়ার সুযোগটা এজন্য করা হয়েছে যাতে কেউ কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। আমরা অনলাইনে জমা দেয়ার জন্য উৎসাহিত করব। কেননা, ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে।
তিনি জানান, টোটাল ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হবে ওটা। নমিনেশন সাবমিট করা যাবে, এনআইডি নম্বর দিলে অনেক বিষয় অটোপূরণ হয়ে যাবে। ডকুমেন্ট স্ক্যান করে দিতে হবে। নির্বাচনি কেন্দ্রগুলোর নামের তালিকা, ছবি থাকবে। কে কোথায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। এনআইডি নম্বর দিয়ে অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এতে গুগল ম্যাপেও ভোটার তার ভোটকেন্দ্র দেখতে পারবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা থাকবে। দুই ঘণ্টার অন্তর অন্তর ভোট পড়ার হার জানানো হবে। ১০টা, ১২টা, ২ট ও বিকাল ৪টায় আপডেট থাকবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ফলাফল আমরা অ্যাপসে কেন্দ্রভিত্তিক দেখতে পারব। বেসরকারি ফলাফলটাও দেখা যাবে।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থার অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ৬৮টি স্থানীয় সংস্থাকে নিবন্ধন দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্থাগুলো হচ্ছে- মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন, অগ্রদূত সংস্থা, অ্যাক্টিভিটি ফর রিফরমেশন অফ বেসিক নিডস, হাইলাইট ফাউন্ডেশন, মুভ ফাউন্ডেশন, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ, ডিজঅ্যাবিলিটি ইন কোজিশন অ্যাক্টিভিটিস, আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা, আব্দুল মমেন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, এসডাপ, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, লুৎফর রহমান ভ‚ঁইয়া ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, যুব উন্নয়ন সংস্থা, শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র, বঞ্চিতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, এসকে কল্যাণী ফাউন্ডেশন, সোসাইটি ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অব রুরাল পিপল, সেতু রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, সোসাইটি ফর ট্রেনিং অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন, রুরাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট, ডেভেলপমেন্ট হেল্পিং কি, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশন, বাঁচতে শেখা, ডপস ফাউন্ডেশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অফ বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ভলান্টারি অরগানাইজেশন ফর সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট, ক্রিয়েটিভ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, জেন্ডার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি, ডেভেলপমেন্ট এডুকেশন অ্যান্ড পিস, বেসিক, হিউম্যান রাইটস ভয়েস, সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজবাড়ি উন্নয়ন সংস্থা, ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, গরিব উন্নয়ন সংস্থা, সমাহার, সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, হাফেজ্জি চ্যারিটেবল সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, ডেভেলপমেন্ট অব মহিলা সোসাইটি, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন, সোশ্যাল ইকুয়ালিটি ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট, ইন্টিগ্রেটেড সোসাইটি ফর রেগস অব হোপ, সমন্বিত নারী উন্নয়ন সংস্থা, পল্লী একতা উন্নয়ন সংস্থা, সোসাইটি ফর হিউম্যান ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড লাস্টিং ডেভেলপমেন্ট, সেঁজোতি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, এসো জাতি গড়ি, ওয়েসভা, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যান্ড কো অপারেশন অরগানাইজেশন, ফোরাম ফোর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, প্রকাশ গণকেন্দ্র, রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, সার্ভিসেস ফর ইকুইটি অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, হিউম্যান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি হিডস, রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ, গ্রাম উন্নয়ন কর্ম, ইকো কনসার্ন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র ও এসো বাঁচতে শিখি (এবাস)।
এবার নিবন্ধন নিতে আবেদন আহŸান করার পর ১৯৯টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ৬৮টিকে বাছাইয়ে রেখে আপত্তি আহŸান করল ইসি। আপত্তি শুনানির পর চ‚ড়ান্তভাবে নিবন্ধন দেয়া হবে।