গরু চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

8

কাজির বাজার ডেস্ক

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে কিছু অসাধুচক্র পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে প্রবেশ (পাচার) করানোর জন্য তৎপর। এ ধরনের অপতৎপরতা রোধে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশ পশুসম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশীয় এ সম্পদ বিকাশের স্বার্থে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু পাচার রোধে বিজিবি দৃঢ় অবস্থানে। মঙ্গলবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছু অসাধু গরু পাচারকারীচক্র বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতা যেমন মন্ত্রণালয়/দপ্তরের ভুয়া অনুমোদনপত্র তৈরি, ভুয়া পরিচয় ও বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে গরু চালান ঢোকানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এ অপতৎপরতা রোধে বিজিবি প্রস্তুত থেকে সীমান্তে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যাতে কোনো গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি আভিযানিক তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।
গত ১৭ জুন রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে একজন ব্যক্তি বিজিবির কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের (২২ বিজিবি) অধীন ধলডাঙ্গা কোম্পানিতে গিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অবৈধ গরু চালানের প্রস্তাব করে। সে জানায়, সীমান্তের ওপারে তার ৫ হাজার গরু বাংলাদেশে পাচারের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। গরু চোরাচালানের অবৈধ প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে বিজিবির ধলডাঙ্গা কোম্পানি তাকে আটক করে।
আটক করা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিচয় জানায়। তার নাম মো. শামিম হাসান (৩২)। পরবর্তীতে কুড়িগ্রামের ভ‚রুঙ্গামারী থানায় মামলা দায়ের করে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
সম্প্রতি একটি অসাধুচক্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সই জাল করে বিট বা খাটাল স্থাপনের ভুয়া অনুমোদন পত্র তৈরি করে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু আনার অপচেষ্টা চালায়। বিষয়টি বিজিবির গোচরীভ‚ত হলে বিজিবি কর্তৃক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই অসাধু ও প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহŸান ইউজিসির
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করতে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহŸান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের।
মঙ্গলবার ইউজিসির ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এক প্রশিক্ষণে তিনি এ কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন। প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিশনের সদস্য ও এপিএর আহŸায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আহŸায়ক প্রফেসর আবু তাহের বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তথ্য না দেওয়ার সংস্কৃতি চালু রয়েছে। তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। প্রকাশযোগ্য সব ধরনের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানান তিনি।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবিধানে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ এ বিষয়টি যুক্ত করেছেন। কাজেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাÐ সম্পর্কে জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্রকে পরিচালনা করা ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ড. শামসুল আরেফিন বলেন, তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নাগরিকের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভ‚মিকা পালন করতে হবে। এছাড়া তিনি তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইউজিসির জনসংযোগ এবং তথ্য অধিকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান প্রশিক্ষণ কোর্সটি পরিচালনা করেন। এ প্রশিক্ষণে কমিশনের ২০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।