বিএনপির রূপরেখা দেখে সরকার ভয় পেয়েছে – শামসুজ্জামান দুদু

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপির রূপরেখা দেখে সরকার ভয় পেয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের’ উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এ দাবি করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের রূপরেখা প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে গণতন্ত্র আসবে। দেশের মানুষের স্বাধীনতা আসবে। দুর্নীতিবাজ, হত্যা ও লুণ্ঠনকারীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এই জন্যে তারা (আওয়ামী লীগ) রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফায় ভয় পেয়েছে। কিন্তু দেশকে বাঁচানোর জন্য বিএনপি যে রূপরেখা দিয়েছে এই সরকার ও তার সহযোগীরা তা ভালো চোখে দেখছে না।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় নয় মাস তিনি কারাবন্দি ছিলেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। জীবনে কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। সাংবিধানিকভাবে তিনি জামিন পান, কিন্তু এখনও তাকে জামিন দেয়নি। বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমি তার মুক্তির দাবি করছি। বিএনপির মহাসচিবসহ এই পর্যন্ত যারা আটক ও গ্রেফতার হয়েছেন তাদের সবার মুক্তি দাবি করছি।
আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে ঘেরাও এর বিষয়ে দুদু বলেন, এই দেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এর গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে এক রাষ্ট্রদূত গুম হওয়া এক পরিবারের বাসায় গিয়েছিল। তার সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তাতে পুরা বিশ্বে বাঙালি জাতির মাথা হিট হয়ে গেছে। এত নিকৃষ্ট হতে পারে কোনো দল, কোনো সরকার এটা ভাবা যায় না। তারা এখন বলছেন এটা বুঝতে পারেননি। এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, ২০১৪ ও ১৮ নির্বাচনের মাধ্যমে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি কী অবস্থায় আছে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এখন বুঝতে পারবেন। আমেরিকা যদিও আগে সাতজনের নামে স্যাংশন দিয়েছিল। তবে এখন আরও ভালো করে বুঝবে দেশের পরিস্থিতি কী।
দেশ ডিজিটাল করার নামে ১০ থেকে ১২ লাখ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে উল্লেখ করে দুদু বলেন, সরকারি-বেসরকারি এমন কোনো ব্যাংক নেই যেগুলো ফোকলা করে দেওয়া হয়নি। ধ্বংস করে দেওয়া হয়নি। যারা সরকারের কাছে ঋণ দিতেন তারা এখন সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছেন।
২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশে হওয়ার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে দুদু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২০৪১ সালে বাংলাদেশ স্মার্ট দেশ হবে। সে পর্যন্ত বাংলাদেশ থাকবে কিনা আমার সন্দেহ হয়। কারণ ১৪ বছরে দেশের যে অবস্থা করেছে। গণতন্ত্র হরণ করেছে, মানুষের বাক-স্বাধীনতা নেই। পুলিশ ও সরকারি আমলাদেরসহ এমন কোনো সেক্টর নেই যে বিতর্কিত হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে তারা চিরজীবন ক্ষমতায় থাকবে। এটা পাকিস্তানিরাও মনে করেছিল। কিন্তু তারা পরাজিত হয়েছে। এখন যারা মনে করছেন আজীবনের জন্য ক্ষমতায় থাকবেন তাদেরকে বলি গণতন্ত্র কখনও পরাজিত হয় না। গণতন্ত্রের কাছে কর্তৃত্ব বাদী শাসক সব সময় পরাজিত হয়। পরাজয়ের দিকে বর্তমান কর্তৃত্ব বাদী শাসকরাও যাচ্ছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিতে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতউল্লাহ, জিনাবের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মৎস্যজীবী দলনেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।