সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংকে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা ॥ অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত ২ জনের রিমান্ড শুনানী আজ

2

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর তালতলাস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জোর করে প্রবেশের চেষ্টাকালে গ্রেফতারকৃত ২ জনকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ গ্রেফতারকৃত ২ জনকে আদালতে তোলে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনও করেছে। আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি আজ বুধবার ধার্য করে ওই যুবকদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই ২ যুবককে আদালতে তোলে রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রুমেল ও মহিন নামের ২ যুবক বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট বিভাগীয় শাখায় প্রবেশ করতে যায়। এসময় তাদের গতিবিধি প্রবেশপথে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে রুমেল ও মাহিনকে স্ক্যানিং মেশিনের মধ্যদিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে বলেন। কিন্তু তখন এ দুজন স্ক্যানিং মেশিনের মধ্যদিয়ে না গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং মারমুখী আচরণ শুরু করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি ব্যাংকের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তাকর্মীরা এ দুজনকে গ্রেফতার করে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এবং পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রুমেল ও মহিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছে থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও একটি পকেট পোর্টেবল ম্যাজিক মেটাল স্টিক জব্দ করা হয়। পরে তাদের কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রুমেল সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর মুকসুদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র আর মাহিন হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার শাহাপুর গ্রামের ইমান আলীর পুত্র।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ওই ২ যুবককে বাংলাদেশ ব্যাংক তালতলা এলাকা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের গতকাল মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত আজ বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে আমরা তাদের থানায় নিয়ে আসি। গতকাল আদালতে তোলে রিমান্ড আবেদন করেছি। আদালত বুধবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করেছেন। তিনি আরও বলেন- খেলনার পিস্তল দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভয় দেখিয়ে টাকা লুট করতে চাচ্ছিলো কি না এবং তারা কোনো বড় চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আশাকরি রিমান্ডে নিয়ে আসলে তাদের সেখানে যাওয়ার কারণ জানা যাবে।