জিন্দাবাজারে কাকলী শপিং মলে অগ্নিকান্ডে ১৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

4

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর জিন্দাবাজারের কাকলী শপিং মলে অগ্নিকান্ডের পর শনিবার ১ জানুয়ারি দোকানপাট খুলেননি ব্যবসায়ীরা। এছাড়া স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও। প্রাথমিকভাবে এ অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা।
গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে রাত ২টার দিকে জিন্দাবাজারের কাকলী সেন্টারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড ও ১১ তলার ছাদে অগ্নিকান্ড ঘটে। রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
মার্কেটের স্বত্ত্বাধিকারী মুজিবুল হক জাবেদ শনিবার বলেন, রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড ও ছাদে আগুন ধরে যায়। তবে কোনো দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড ও ১১ তলায় বেশ কিছু বৈদ্যুতিক তার জ্বলেছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এখনও পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। তবে অনুমান করা যাচ্ছে অন্তত ১০/১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হতে পারে। পুরো হিসাব আজ রবিবার ২ জানুয়ারি সকাল ১১টায় জানাবে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় কাকলী শপিং মলের সামনে গিয়ে দেখা যায়- সেখানে মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী জড়ো রয়েছেন। এসময় তারা জানান, অগ্নিকান্ডের পরে তাঁদের অনেকে নিজেদের মালামাল সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখেছেন। অগ্নিকান্ডে মার্কেটের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হয়নি।
অগ্নিকান্ডের পর সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, পরে তা ভবনের ১১ তলায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে দ্রুত সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারায় কোনো দোকানে আগুন ছড়ায়নি। ফলে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে মার্কেটটি। তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও বিপণিবিতানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
তবে মার্কেটের স্বত্বাধীকারী মুজিবুল হক জাবেদ জানান, রবিবার বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে অন্তত বিকল্প উপায়ে তৃতীয় তলা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানানো হবে।