বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে প্যারিসে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

3

প্যারিস ফ্রান্স থেকে সংবাদদাতা :
সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, হত্যা, পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা ভাংচুর, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ নানা ঘটনার প্রতিবাদে প্যারিসে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সম্মুখে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
প্যারিরস্থ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ফ্রান্স ও বাংলাদেশ সনাতন ধর্ম উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে ফ্রান্স প্রবাসী সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃৃন্দসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্দীপ্ত মানুষজন বৃষ্টি উপেক্ষা করে এতে অংশ নেন।
সাম্প্রদায়িক আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে সমাবেশে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বলেন, দুষ্কৃতকারীদের কোনো ধর্ম নেই, এরা মানবতাবিরোধী দেশ ও দশের শত্রু। ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে কটু বাক্য, কমেন্ট-পোস্ট না করে একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য সম্প্রীতি বাড়াতে হবে। আমরা একই দেশের মানুষ, একে অপরের আত্মীয়। জগতে শত্রুতার দ্বারা শত্রুতার উপশম হয় না- মিত্রতার দ্বারাই শত্রুতার উপশম হয়।
প্রকাশ কুমার বিশ্বাস ও শ্যামল দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,ঐক্য পরিষদ ও পূজা পরিষদের উপদেষ্টা দীপঙ্কর রায় করুনা,পূজা পরিষদের সভাপতি পিন্টু লাল বিশ্বাস,সনাতন ধর্ম উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি রঞ্জিত দাস,মানবাধিকার কর্মী বিভা রানী বিশ্বাসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
মানববন্ধন ও সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জ্যোতিষ দেবনাথ, বাসুদেব বনিক, অজয় দাস, রজত কান্তি দেব, সুব্রত ভট্টাচার্য শুভ, রজত রায়, কার্ত্তিক দাস, সুমন বিশ্বাস, রাহুল ঘোষ রতন, সঞ্জয় দেব মন্টু, দিপন বিশ্বাস, মিটন কান্তি কর, সজল দাস, কৃষ্ণ দাস, সৌমেন্ত্র ভট্টাচার্য, মিনা মারি গমেজ, সাবিত্রী বিশ্বাস, ময়না দেব, নয়ন গোপ, জনি দাস, মিটুন গুপ্ত, শুভেন্দু সেন, সুমন দত্ত, দয়াময় রায়, সুজিত দেব, উষা রানী দাস, সুলেখা রানী দাস, সৃষ্টি সরকার, জন্টু দাস ,অর্চনা রানী রায়, মিটুন দাস, পুরঞ্জয় দাস, গীতন চৌধুরী, বিমল দাস, লিটন বড়ুয়া ও সুজয় বড়ুয়া প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্টদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।