খাদ্যে স্বনির্ভরতা চাই

3

বিশ্বখাদ্য নিরাপত্তা দিবসের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বিশেষ করে ধান এবং অন্যবিধ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্যশস্যে প্রায় স্বনির্ভরতা অর্জনের বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। গত ২০-২১ অর্থবছরে বোরো ধান উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি টনের বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। মোট চালের উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৮৬ লাখ টন। এর বাইরে গম, ভুট্টা, আলু, শাক-সবজি, ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনও বেড়েছে বহুলাংশে। পাশাপাশি বেড়েছে ফলমূল, শাক-সজবি ও মাছের উৎপাদন। হাঁস, মুরগি, ছাগল, ভেড়া, গবাদিপশুর খামারের সংখ্যাও বেড়েছে। বেড়েছে দুধ, ডিম, মাংস বিশেষ করে পোল্ট্রির উৎপাদন। প্রতি বছর কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো হয় প্রধানত দেশীয় পশুসম্পদ থেকেই। বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ বোরো মৌসুমের উচ্চ জিঙ্ক সমৃৃদ্ধ ধানের জাত, যা মানবদেহে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। ধানের নতুন নতুন উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এই কৃতিত্বের দাবিদার। বহুমুখী ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারের জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮, জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি-২০২০, জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতি-২০২০ এবং জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি-২০২০ ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। এসব নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। পাশাপাশি রোধ করতে হবে খাদ্যের অপচয়। অতিরিক্ত খাদ্য পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থাও করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, দেশে কেউ না খেয়ে থাকবে না। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় নগদ প্রণোদনাসহ নিত্যপণ্য পৌঁছে দিয়েছে গরিবের ঘরে ঘরে, যা অব্যাহত রয়েছে। কৃষকদের ধান-চালের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করার জন্য ক্রয়মূল্য বাড়ানোর পাশাপাশি মজুদও বাড়িয়েছে বেশি পরিমাণে কিনে, যাতে গড়ে তোলা যায় খাদ্য নিরাপত্তা।