কানাইঘাটে ভাড়াটিয়া মালিকের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর

7

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটের সড়কের বাজারে মালিকের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় কারণে এক ভাড়াটিয়ার প্রবাসীর স্ত্রী ও তার ছেলেকে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায় উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির সোনারখেওড় গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুছের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৭) ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ার সুবিধার্থে স্থানীয় সড়কের বাজারের পাশে অবস্থিত কাজিরগ্রাম জয়ফৌদ গ্রামের মৃত আয়াছ আলীর পুত্র আবু বকর (৩৮) এর মালিকানাধীন ভাড়াটিয়া বাসায় উঠেন প্রায় ৮ মাস পূর্বে। সেখানে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাসের পর থেকে বাসার মালিক আবু বকর রহিমা বেগমকে নানা ভাবে আকারে ইঙ্গিতে উত্যক্ত সহ কুপ্রস্তাব দিয়া আসছিল। এমতাবস্থায় ইজ্জত রক্ষার্থে মাসখানিক পূর্বে প্রবাসীর স্ত্রী আবু বকরের বাসা ছেড়ে দিয়ে কাজিরগ্রামের প্রবাসী ফারুক আহমদের ভাড়াটিয়া বাসায় উঠেন। সেখানে গিয়েও আবু বকর বিভিন্ন ভাবে রহিমা বেগমকে উত্যক্ত করলে রহিমা তার প্রবাসী স্বামী আব্দুল কুদ্দুছের পরামর্শে উত্যক্তর ঘটনায় আবু বকরের ভাইদের কাছে বিচার দেওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছেলে কামরান হোসেন (১৮) কে সাথে নিয়ে তাদের বাড়ীতে যান। এ সময় উত্তেজিত হয়ে আবু বকর ও তার ভাই মোমিন আহমদ, শাহিন, রুহিন আহমদ, রহিমা বেগমকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট, শ্লীলরতাহানী সহ তার ছেলে কামরান হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন রহিমা ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরানের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে সিওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় রহিমা বেগম বাদী হয়ে আবু বকর সহ তার ৩ ভাইকে আসামী করে সমূহ অভিযোগ এনে কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।