স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

4

কবির আল মাহমুদ, স্পেন থেকে :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করেছে স্পেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। রবিবার (৮ আগষ্ট) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় মাদ্রিদে দূতাবাস সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জন্মবার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচিতে ছিল পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, বাণী পাঠ, বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভা ও মোনাজাত।
অনুষ্ঠানে স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ এবং দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেন এবং তার অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ফজিলাতুন নেছা মুজিব আমৃত্যু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। বাঙালির প্রতিটি মুক্তিসংগ্রামে তিনি বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মাঝেও তিনি অসীম ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গমাতা-সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’ – ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীর এ প্রতিবাদ্য অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট যখন ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধু শাহাদত বরণ করেন তখন ঘাতকদল বঙ্গমাতাকে তাদের সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেও তিনি নির্ভিক ও সাহসিকতার সঙ্গে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উত্তর দেন যে, তিনি কোথাও যাবেন না, তিনি তৎক্ষণাৎ মৃত্যুবরণকেই পছন্দ করবেন।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগষ্টে শাহাদাত বরণকারী ব্যক্তিবর্গ, জাতীয় চার নেতা, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের রূহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে দূতালয় প্রধান এ টি এম আব্দুর রউফ মন্ডল, বাণিজ্যিক সচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রথম সচিব মো. মুতাসিমুল ইসলাম ও তাহসিনা আফরিন শারমিনসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।