রফতানি আয় বাড়াতে ১৭ পণ্য টার্গেট

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
মহামারী করোনার অর্থনৈতিক প্রভাব দ্রুত মোকাবেলায় দেশের ১৭টি পণ্যকে টার্গেট করে রফতানি আয় বাড়ানোর কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী চরম এই দুঃসময়ে দেশের রফতানি আয় ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন দেশে নতুন পণ্য রফতানি বাড়ানোর বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এলডিসি উত্তরণে বিদেশী সহায়তা নির্ভর থেকে বেরিয়ে এসে পুরোপুরি বাণিজ্য নির্ভর দেশের দিকে এগিয়ে যেতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে রফতানি বাড়াতে ‘নীতিগত’ সহায়তা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি যখন টালমাটাল তখন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া, কৃষিজাতপণ্য, ওষুধ ও করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর রফতানি বেড়েছে। এছাড়া সারাদেশে করোনার গণটিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কারণে বিদেশী ক্রেতাদের মধ্যে আস্থাহীনতার যে সঙ্কট তৈরি হয়েছিল তা দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের দাবি মেনে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রফতানিমুখী কারখানা খুলে দেয়ায় এবার সময়মতো পণ্য পাবেন বিদেশী ক্রেতারা। এ কারণে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এছাড়া আগামী ১১ আগস্ট থেকে সব ধরনের দোকানপাট, মার্কেট ও গণপরিবহন চালু হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কর্মকান্ড। এসব কারণে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিতে আবার চাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বিশ্বের দুই শ’ দেশে প্রায় ৭০০ রকমের পণ্য রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়া, ওষুধ, মৎস্য, কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে আন্তর্জাতিক বাজারে পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। রফতানিতে নগদ সহায়তা প্রদান, বাংলাদেশী পণ্যের ব্র্যান্ডিং, অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহের কমার্সিয়াল কাউন্সিলের কার্যক্রম বাড়ানো, বিভিন্ন দেশে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল প্রেরণ, নতুন বাজার অনুসন্ধান, পণ্যবহুমুখীকরণ, ট্যাক্স হলিডে ও আয়কর সুবিধাসহ নানামুখী নীতিগত সহায়তার কারণে রফতানিখাত শক্তিশালী হচ্ছে। রফতানির ঝুড়িটি বড় হচ্ছে বাংলাদেশের। এতে কর্মসংস্থান যেমন বাড়ছে, অর্জিত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রাও।
প্রতিবেশী দেশের পাশাপাশি ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকার দেশগুলোতেও যাচ্ছে বাংলাদেশের অপ্রচলিত পণ্য। কিন্তু রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে পাঁচ ধরনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এগুলো হচ্ছে, বর্তমান বাণিজ্য কাঠামোয় সমস্যা, বাণিজ্য নীতি ও প্রণোদনার ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট (বন্দর, পরিবহন, শুল্কায়ন ইত্যাদি) সমস্যা, শুল্কায়ন পদ্ধতির জটিলতা, বিরাজমান বাণিজ্য নীতি ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে অবকাঠামোগত সেবায় মাত্রাতিরিক্তি ব্যয়। আশার কথা, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আগামী দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনায়। পাশাপাশি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণের জন্য বহুমুখী উদ্যোগ রয়েছে। এছাড়া চলতি বাজেটে রফতানিমুখী শিল্পখাতকে বিশেষ সুবিধা প্রদানে মেইড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশমুখী হয়েছেন। রফতানিখাতগুলো নতুন নতুন অর্ডার পাচ্ছে। মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতা, ভিয়েতনামে পোশাকের দাম বৃদ্ধি এবং চীন করোনাভাইরাস বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণে ইউরোপ এবং আমেরিকার বড় বড় দেশ এখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে বেশি আগ্রহী। আর এ কারণে দেশের রফতানিখাত এখন চাঙ্গা হয়ে উঠছে। দেশের রফতানি আয় বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, রফতানি আয় বাড়াতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূর করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। করোনা মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রফতানি প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবার ১৭টি পণ্যকে সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে সরকার। এই পদক্ষেপ ২০২৬ সালে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের পর রফতানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে জোরালো ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার বা ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। আশা করা হচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এবার পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে। এছাড়া বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৬ শতাংশ পূরণ করে তৈরি পোশাক শিল্প (গার্মেন্টস) খাত যা বাংলাদেশের গত বছরের সর্বমোট রফতানির ৮৩ শতাংশ। বিশ্বে রফতানি আয় অর্জনের ক্ষেত্রে বৃহৎ রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ছিল ৪২তম। ২০১৮ সালে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে বাংলাদেশের অংশ ছিল ৬ শতাংশ এবং পোশাক রফতানিতে একক দেশ হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয়। গত ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে পণ্য ও সেবা রফতানি খাতের অবদান ছিল ১৪ দশমিক ৬ ভাগ। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংগঠন ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের হিসাব মতে, তৈরি পোশাক শিল্পে বিশ্বের প্রথম সারির ১০টি উন্নতমানের (পরিবেশবান্ধব) কারখানার ৭টিই রয়েছে বাংলাদেশে।
করোনা প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ‘রেমডেসিভির’ রফতানি হচ্ছে বিশ্ববাজারে। এছাড়া করোনা সুরক্ষা সামগ্রীও রফতানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। করোনাসামগ্রী উৎপাদন ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। করোনার মধ্যেও নিট পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়ার জুতা, হোম টেক্সটাইল, রাসায়নিক ও প্রকৌশল পণ্য, ওষুধ, হস্তশিল্প, বাইসাইকেলসহ কয়েকটি পণ্য রফতানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
টার্গেট ১৭টি পণ্য : ১৭টি পণ্যকে টার্গেট করে রফতানি আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব মোকাবেলা এবং এলডিসি উত্তরণে সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি-পিটিএ এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি-এফটিএ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪৪টি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া রফতানিতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে ৩৬টি পণ্যের রফতানি প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। মূলত দুটি চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে রফতানি আয় বাড়ানোর এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার একটি হচ্ছে চলমান কোভিড-১৯ এবং অন্যটি স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ।
জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের যেগুলোতে কমার্সিয়াল উইং রয়েছে, সেই দেশগুলোকেই রফতানি সম্প্রসারণে টার্গেট করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, রাশিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিয়ানমার। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে রফতানি বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের যে ১৭টি পণ্য বাছাই করা হয়েছে সেগুলো হলো-ওষুধ, প্লাস্টিক, খেলনা, আইটি, এন্টিবায়োটিক, মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল, ফার্নিচার, সিরামিক, চামড়া, ফুটওয়্যার, হিমায়িত মাছ, ওভেন ফেব্রিক্স অব জুট ইয়ার্ন এবং পাটের তৈরি ব্যাগ ও হাতমোজা, পেপার এ্যান্ড কার্ডবোর্ড ও স্পোর্টসওয়্যার পণ্য সামগ্রী।
মেডিক্যাল পণ্য উৎপাদন ও রফতানিতে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক : করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেডিক্যাল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস’ (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মেডিক্যাল এ্যান্ড পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (এমপিপিই) পণ্যসামগ্রী উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলো এ অনুদান পাবে। এ অনুদানের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জনকণ্ঠকে বলেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে এখন মেডিক্যাল পণ্যের খুবই প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংক মেডিক্যাল পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছে। এ অনুদানের মাধ্যমে মেডিক্যাল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহিত হবে। তিনি বলেন, কেবল স্থানীয় বাজারের জন্য নয়, বৈদেশিক বাজারে রফতানির সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তারাও এ কর্মসূচীর মাধ্যমে সুবিধা পাবেন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদন, ডায়াগনস্টিক ইকুইপমেন্ট ও ক্লিনিক্যাল ইকুইপমেন্ট তৈরিতে যুক্ত উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।
হালাল পণ্য রফতানি করা হবে : বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বিশাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে। দিন দিন এ বাজার বড় হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে মুসলিম বিশ্বে হালাল পণ্য রফতানির সক্ষমতা রয়েছে, এ সুযোগ কাজে লাগাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিশ্বের অনেক দেশ হালাল সার্টিফিকেশন অথরিটি গঠন করে কাজ করছে। বাংলাদেশেরও এসব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ আছে। নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে রফতানি বাড়াতে হবে। এর জন্য বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে কাজে লাগানো হবে। সম্প্রতি সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে হালাল পণ্য কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। এরপরও নড়েচড়ে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কারখানা খুলে দেয়ায় উদ্যোক্তাদের স্বস্তি : কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রফতানিমুখী কারখানাগুলো খুলে দেয়ায় উদ্যোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এছাড়া আগামী ১১ আগষ্ট থেকে সারাদেশে দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন। এছাড়া সারাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কারণে বিদেশী ক্রেতাদের আস্থাহীনতার সঙ্কট দূর হবে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা।
যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি পোশাক নেবে : একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। কোভিড পরিস্থিতিতেও গত অর্থবছরে (২০২০-২১) দেশটিতে পোশাক রফতানি বেড়েছে ১৩ শতাংশের বেশি। সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে, অন্তত আগামী দুই বছর এ প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় থাকবে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ক্রয় বাড়িয়ে তুলতে যাচ্ছে মার্কিন খুচরা বিক্রেতা (রিটেইলার) প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব রিটেইলার প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটা সংশ্লিষ্ট শীর্ষ নির্বাহীরা জানিয়েছেন, মূলত বাংলাদেশী পোশাকের মূল্য সুবিধাকে কাজে লাগাতেই ক্রয় বাড়ানোর কথা ভাবছেন তারা।